বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
সরকারি সূত্রের দাবি, বর্তমান ভাড়ার তালিকায় একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। এখন ৫ থেকে ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যেতে যাত্রীদের ৯ টাকা দিতে হয়। এক্ষেত্রে কোনও যাত্রীর ৫ কিমি যেতে যা খরচ, ১২ কিমি পেরতেও তাই। রাজ্য সরকার চাইছে, নির্দিষ্ট দূরত্ব অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট ভাড়া নির্ধারিত হোক। যাতে কম দূরত্বের যাত্রীদের কম টাকা গুনতে হয়। অপেক্ষাকৃত বেশি দূরত্বের যাত্রীদের ভাড়া বৃদ্ধি হোক কিলোমিটার প্রতি আনুপাতিক হারে। এই মুহূর্তে ১২ থেকে ১৬ কিমি পর্যন্ত ১০ টাকা এবং ২০ কিমি পর্যন্ত ১১ টাকা গুনতে হয়। নয়া ভাড়ার সুপারিশ অনুযায়ী, ৭ কিমি পথ অতিক্রম করলে দিতে হবে ১০ টাকা। ১০ এবং ১৫ কিমি দূরত্বের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১২ এবং ১৫ টাকা ভাড়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে একইভাবে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সবর হয়েছিল বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনগুলি। তাঁদের দাবিকে মান্যতা দিতে ভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত এক বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিলেন তৎকালীন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেই কমিটিও ভাড়া বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছিল। কিন্তু, কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেই রিপোর্ট আজও দিনের আলো দেখেনি। তারপর গঙ্গা দিয়ে বহু জল বয়ে গিয়েছে। ২১৩টি আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নয়া মন্ত্রিসভায় পরিবহণ দপ্তরের দায়িত্ব পড়েছে ফিরহাদ হাকিমের ঘাড়ে। বাসমালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে তাঁদের সমস্যা নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন তিনি। মালিকদের বক্তব্য, মন্ত্রী তাঁদের কষ্ট-যন্ত্রণা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেছেন। তারপরই ফের ভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত নয়া কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন মন্ত্রী ফিরহাদ। কিন্তু গত ৫ জুলাই গোটা প্রক্রিয়ার ছন্দ কাটে। ওই দিনই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি সাফ জানিয়ে দেন, বাসের ভাড়া বাড়বে না। শুধু তাই নয়, বেসরকারি বাস-মিনিবাসকে কোনও আর্থিক কর ছাড়ও দেওয়া হবে না। কিন্তু, গত বৃহস্পতিবার পেশ হওয়া রাজ্য পূর্ণাঙ্গ বাজেটে পরিবহণ ক্ষেত্রেও জন্য একাধিক আর্থিক সুবিধার কথা ঘোষণা হয়েছে। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাণিজ্যিক গাড়ির রোড ট্যাক্স ও অতিরিক্ত কর ছাড়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজ্য বাজেটে। নবান্ন সূত্রের দাবি, এখন ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। একটাই আশঙ্কা, আসন্ন পুরভোট ও বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে তিনি বর্ধিত ভাড়ার সুপারিশে সিলমোহর দেন কি না।