বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার তাদের কাছে খবর আসে, বিহারের নম্বরের তিনটি হাই স্পিড বাইক রানিগঞ্জ এলাকায় ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রতিটি বাইকে দু’জন করে রয়েছে। তাদের উপর নজরদারি শুরু হয়। শুক্রবার দুপুরে সন্দেহজনকভাবে তাদের মঙ্গলপুর শিল্পতালুকের পেট্রল পাম্পের অদূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তিনটি বাইকি অত্যন্ত হাইস্পিডের ছিল। পুলিসের গাড়ি দেখেই হাই স্পিড বাইকগুলি নিয়ে দ্রুতগতিতে পালাতে যায়। যদিও পুলিসের নির্দিষ্ট পরিকল্পনায় তারা ধরা পড়ে যায়। সিনেমার কায়দায় দ্রুতগামী বাইকগুলিকে ধাওয়া করে অভিযুক্তদের ধরার পর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
জানা গিয়েছে, ছয় দুষ্কৃতীর বাড়ি বিহারের কাটিহার জেলার বাসিন্দা। প্রত্যেকের কাছে রয়েছে দামি অ্যাপেলের আইফোনের সঙ্গে বেশ কিছু সন্দেহজনক পাউডার। পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে গয়না পরিষ্কার করার জন্যই তারা এই এলাকায় এসেছিল। তবে, দুঁদে অফিসারদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি অ্যাপেলের ফোন, দামি বাইক নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেউ গয়না পরিষ্কার করতে যাবে না। জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিস নিশ্চিত হয়, কেপমারি করাই ছিল তাদের পরিকল্পনা। টাকা লুট করে যাতে নিমেষে ভ্যানিশ হতে পারে তারজন্য দামি হাইস্পিড বাইক ব্যবহার করত তারা। সেই কৌশলও তারা ভালো মতো রপ্ত করেছে। কিন্তু অ্যাপেলের ফোনের প্রয়োজনীয়তা কী ছিল, সেটাই পুলিসের সবচেয়ে বড় সন্দেহ। অনেক ক্ষেত্রেই অ্যাপেলের ফোন তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য ব্যবহার হয়। তাই বিহার থেকে শিল্পাঞ্চলে আসার পিছনে এদের অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে কাটিহার জেলার পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নামে আগে কী কী মামলা রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। এসিপি (সেন্ট্রাল ১) তথাগত পাণ্ডে বলেন, বিহারের একটি কেপমারি গ্যাং ধরা পড়েছে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।