বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
বিচারপতি এদিন আরও জানান, প্রার্থীরা তাঁদের অভিযোগের হার্ড কপি সরাসরি কমিশনে জমা দিতে পারবেন। আবার স্পিড পোস্ট বা রেজিস্টার্ড পোস্টের মাধ্যমেও তা পাঠানো যাবে। কমিশনের যে আধিকারিকরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন, তাঁরা যেন সচিব পর্যায়ের হন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হল, তা প্রার্থীদের ডাকযোগে জানাতে বাধ্য থাকবে কমিশন। এদিন আদালতের নির্দেশের পরে রাত পর্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে এসএসসি। এক আধিকারিক বলেন, ‘আদালত ঠিক যেমন নির্দেশ দিয়েছে, সেই পথেই অভিযোগ গ্রহণ এবং তার সমাধান করা হবে।’
উচ্চ প্রাথমিকে শূন্যপদের সংখ্যা ১৪,৩৩৯টি। বিষয়, পাঠদানের মাধ্যম, ক্যাটিগরি, লিঙ্গ প্রভৃতি শর্ত মাথায় রেখে প্রতিটি পদের জন্য গড়ে ১.৪ জনকে ইন্টারভিউতে ডাকার কথা। তাই শূন্যপদের অনুপাতে সেখানে ডাক পাওয়ার কথা ছিল ২০,০৭৪ জনের। তবে, বাংলা, পিওর সায়েন্স এবং বায়োসায়েন্সের বিভিন্ন সংরক্ষিত পদে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত প্রার্থী পাওয়া যায়নি। সে জন্য ১৫,৪৫৫ জনের নাম ইন্টারভিউ তালিকায় প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে কমিশন। তবে, একটা বিষয় পরিষ্কার। যদি প্রচুর প্রার্থীর অভিযোগ সঠিক প্রমাণ হয়, তাহলে শূন্যপদের সংখ্যা বাড়াতে হবে কমিশনকে। নয়তো সবাইকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব হবে না। প্রার্থীদেরও একটা বড় অংশ সেই দাবি করে আসছে। যা যা অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্যে সঠিকভাবে তথ্য আপলোড করা সত্ত্বেও আবেদন বাতিল হওয়ার নালিশ সবচেয়ে বেশি। এ নিয়ে কমিশনের সদর কার্যালয়ে এদিন বহু প্রার্থী বিক্ষোভও দেখান।
মামলাকারী অভিজিৎ ঘোষের এহেন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের দাবি ছিল, তিনি নিজের বিএড ডিগ্রির কথা জানাননি। তাই তাঁর আবেদন গৃহীত হয়নি। এর জবাবে গত শুনানিতেই আইনজীবী ফিরদৌস শামিম দাবি করেছিলেন, ‘কমিশন ভুল বলছে। কারণ, ওই যোগ্যতা উল্লেখ করা হয়েছিল বলেই তাঁর প্রার্থীপদ গৃহীত হয়েছিল। যা কমিশনের ওয়েবসাইট দেখলেই বোঝা যাবে।’ তারপরই আদালত ইন্টারভিউ তালিকায় থাকা ও না থাকা প্রার্থীরা কোন খাতে কত নম্বর পেয়েছেন, তা প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়। আদালত এও বলেছিল, কমিশনের কাজে স্বচ্ছতা দেখা গেলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল রাখার দরকার হবে না। সেই মতোই বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করে কমিশন।