বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
এমন মামলার ক্ষেত্রে আইনজীবীদের বক্তব্য, বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী’র সম্পর্কের টানাপোড়েনে বিধ্বস্ত হচ্ছে তাঁদের শিশু, নাবালক সন্তানেরা। সব ক্ষেত্রে শিশুটির অভিভাবকত্ব নির্ধারণ পর্বটিই অত্যন্ত কঠিন ও জটিল হয়ে দাঁড়ায়। স্রেফ আইন এই ব্যাপারে শেষ কথা বলতে পারে না। কারণ, সমস্যাটি মানবিক। কিসে, কোন পরিবেশে শিশুটির মঙ্গল ও কল্যাণ হতে পারে, সেটাই হবে প্রধান বিবেচ্য। সাগ্নিকের মা ছেলেকে বড় করার জন্য কোনও খামতি রাখেননি। বারাসতের নামী এক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ছেলেটি তা সত্ত্বেও চিঠি দেয় সিডব্লুসিকে। গত ৪ জুন ওই সংস্থার অফিসাররা শ্যামপুকুর থানার পুলিস সঙ্গে নিয়ে বাগবাজারে তাদের বাড়ি যান। সাগ্নিকের মা তাঁদের বাধা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু, তাঁকে পাল্টা জানানো হয়, সিডব্লুসি’র নির্দেশেই এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওই মহিলা আসেন হাইকোর্টে।
২৬ জুন আদালত সিডব্লুসি সহ সব পক্ষের বক্তব্য তলব করে। তখনই জানা যায়, সাগ্নিক নিজেই চিঠি লিখে তার বাবার মাধ্যমে তা পাঠিয়েছে। চিঠিতে সে তার প্রতি অবহেলা ও খারাপ ব্যবহারের কথা জানিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে সাগ্নিকের মা চিঠিটির স্বাক্ষর আদৌ ছেলের কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তারই জেরে শুক্রবার সাগ্নিক ছাড়াও তার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বাবা ও মা আদালতে হাজির হন। সাগ্নিক বিচারপতিকে জানায়, সে মায়ের কাছে আপাতত ফিরতে চায় না। চিঠির স্বাক্ষরও তার। এই প্রেক্ষাপটেই আদালত উপরোক্ত নির্দেশ দিয়েছে।