বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের টিমের সদস্যরা বিভিন্ন পুর এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যেমন শনিবার দক্ষিণ দমদম পুরসভার কাউন্সিলারদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। একইরকমভাবে রাজ্যে ১০২টি পুরসভাতেই ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের টিম। এই পুরসভাগুলিতে এপ্রিল মাসে ভোট হবে। তার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন মার্চ মাসের মাঝামাঝি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। তার আগেই ঘর গুছিয়ে নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যেতে দলীয় কর্মী, নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী পুরভোটে দলের দিশা ঠিক করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারে তৃণমূলস্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ১৪,৫০০ জনকে ইন্ডোরে ডাকা হচ্ছে। সেখানে কাউন্সিলার, চেয়ারম্যানরা যেমন থাকবেন, তেমনই থাকবেন দলের পদাধিকারীরা। আইপ্যাকের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই সেদিন বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই রিপোর্টই এখন রাজনৈতিক মহলের আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু। পিকে’র টিম কী রিপোর্ট দিল, কাউন্সিলারের পক্ষে না বিপক্ষে, তাই নিয়ে জোর চর্চা চলছে প্রতিটি পুরসভা এলাকায়। আর স্বাভাবিকভাবেই এই রিপোর্ট নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন কাউন্সিলাররা। যদি কোনও কাউন্সিলার প্রার্থীপদ না পান, সেক্ষেত্রে নেতিবাচক রিপোর্টই অন্যতম কারণ হবে বলে সকলের ধারণা।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় জনসংযোগ আরও বৃদ্ধি করুন দলীয় কর্মীরা। তিনি নিজেও দু’দিন বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করেন। পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান। ইতিমধ্যে জেলার নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি কেমন পালিত হয়েছে, সে নিয়েও খোঁজ নিচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের টিম। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব চায়, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, এলাকায় সাংগঠনিক শক্তি আছে, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন ব্যক্তিদের প্রার্থী করা হোক। এই ১০২টি পুরসভার ভোটই ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেমিফাইনাল হতে চলেছে। এই ভোটের উপরে বিধানসভার ভাগ্য অনেকটা নির্ভর করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ কাউন্সিলাররাই হবেন এলাকায় দলের মুখ। তাই সেই মুখ পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির হোক, এটাই চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।