কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
রাজ্যের এমপি এবং বিধায়কদের জন্য নিরাপত্তা কর্মী বরাদ্দের বিষয়টি দীর্ঘদিনের পুরনো। তবে সব বিধায়ক নিরাপত্তা রক্ষী নেন না। কেউ কেউ অনেক সময় রক্ষী পান না বলেও অভিযোগ করেন। এমপি-এমএলএ ছাড়াও জেলা পরিষদ সহ পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরের কিছু ‘বাছাই’ জনপ্রতিনিধির জন্যও নিরাপত্তা কর্মী বরাদ্দ আছে। জনপ্রতিনিধি নন, শাসক ও বিরোধী দলের এমন কয়েকজন নেতানেত্রীর জন্যও এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সত্যজিৎবাবু খুনের পর নবান্নের নির্দেশে জেলায় জেলায় এসপি’রা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়ে বৈঠক ডাকার কাজ শুরু করেছেন। আজ, বৃহস্পতি ও কাল, শুক্রবার বেশ কয়েকটি জেলায় এই বৈঠক হওয়ার কথা। কেবল শাসক নয়, বিরোধী দলের বিধায়কদেরও এই বৈঠকে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই বিগত কয়েক বছরে পুলিশের কাছ থেকে কোনও ব্যাপারেই সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগে সিপিএম সহ বিরোধী শিবিরের অনেক বিধায়কই এই বৈঠকে যাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকী, কৃষ্ণগঞ্জ-কাণ্ডের পরও তাঁরা অনেকে নিরাপত্তা রক্ষী চান না বলে জানিয়েছেন।
সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের পর বিধায়কদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি নিজেই সে কথা জানিয়ে বিধায়কদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বিধায়কদের তিনি পুলিসের দেওয়া নিরাপত্তা ম্যানুয়াল বা বিধি মেনে চলার নিদান দিয়েছেন। রাজ্য প্রশাসনও চাইছে, নিরাপত্তার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ভিআইপি পুলিসের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। নিজের গতিবিধি ও দৈনন্দিন কর্মসূচি পুলিসকে আগাম জানান তাঁরা। অপরিচিত লোকজনের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাতের ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। সর্বোপরি, ভিড়ে ঠাসা কোনও জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে এই সাবধানতা বেশি করে অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। একই সঙ্গে উপর মহলের নির্দেশ মেনে জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষ জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের ডেকে নতুন করে ব্রিফ করতেও শুরু করেছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি জেলায় এই ব্রিফিংয়ের কাজ শেষও হয়েছে। জানা গিয়েছে, কয়েকটি জেলায় জনপ্রতিনিধি বিশেষে নিরাপত্তা রক্ষীর সংখ্যা বাড়ানোও ঘটেছে। তবে সব এমপি-এমএলএ’র রক্ষীসংখ্যা বাড়ছে না। স্থানীয় থানা ও জেলা গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে পুলিশ সুপাররা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কয়েকজন বিধায়ক বা জেলা পরিষদের কর্তাব্যক্তিদের তিনজন করে রক্ষী বরাদ্দ করা হচ্ছে বলেও শোনা গিয়েছে।
তবে রক্ষী বরাদ্দ নিয়ে বিতর্ক যে একেবারে শেষ হয়নি, তাও টের পাওয়া যাচ্ছে। যেমন, সিপিএমের কয়েকজন বিধায়ক পুলিস কর্তৃপক্ষের আহ্বানে সাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের কথায়, গত কয়েক বছরে তাঁরা কেউ একবার, কেউ একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছেন শাসকদলের কর্মীদের হাতে। সেই সময় পুলিসের কাছে দরবার করেও কোনও সুরাহা পাননি। তাই অনেকেই ক্ষোভে-প্রতিবাদে রক্ষী ছেড়ে দিয়েছেন। তাই এখন তা নেওয়ার প্রশ্ন নেই। পশ্চিম বর্ধমানের কয়েকজন বাম বিধায়ক আবার শাসকদলের কয়েকজন বিতর্কিত নেতাকে পুলিসি নিরাপত্তা দেওয়ার কথা শুনতে পেয়ে বেজায় চটেছেন।