কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার জয়েন্ট ডিরেক্টরের সঙ্গে তদন্তকারী দলের সদস্যরা বৈঠকে বসবেন। সেখানেই কলকাতার পুলিস কমিশনারের সঙ্গে আলোচনাপর্বে যা যা উঠে এসেছে, তা রিপোর্ট আকারে পেশ করা হবে। তারপর পুঙ্খানুপুঙ্খ কাটাছেঁড়া করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে দিল্লিতে। যা শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে পেশ হবে বলে জানিয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলের সদস্যরা।
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, সারদাকাণ্ডে রাজ্যের গঠিত সিটের অন্যান্য তদন্তকারী সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যই এখন অন্যতম হাতিয়ার তাঁদের। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, রিপোর্ট তৈরির পর বা সুপ্রিম কোর্টে পেশ হওয়ার সময় যদি মনে হয়, কোথাও ফাঁকফোকর রয়ে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে কলকাতার পুলিস কমিশনারকে আবার আলোচনায় ডাকা হতে পারে। পাশাপাশি কয়েকজন প্রভাবশালী এবং ধৃত সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে, কলকাতা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই যদি সুপ্রিম কোর্টে মারাত্মক কোনও রিপোর্ট জমা দেয়, তাহলে তার পাল্টা প্রস্তুতিও নিয়ে রাখছেন লালবাজারের কর্তারা। এব্যাপারে তাঁরা ইতিমধ্যেই আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রয়োজনীয় নথিপত্রও তৈরি করা হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রাজীব কুমারের সঙ্গে আলোচনা পর্বে কিছু ক্ষেত্রে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। সেই সব বিষয় ‘ক্রস-চেক’ করার জন্য সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারীরা। তাঁদের কথায়, তদন্তে একজন হুন্ডি ব্যবসায়ীর নাম মিলেছে। যে সারদার টাকা সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে নেওয়া এবং প্রভাবশালীদের হাতে পাচার করার কাজ করত। সুদীপ্ত সেনকে এই ব্যবসায়ীর সম্পর্কেও জেরা করা হবে। পাশাপাশি, কলকাতার পুলিস কমিশনার আলোচনা পর্বে জানিয়েছিলেন, সিট সারদার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। কিন্তু তা আদৌ কতটা সঠিক, তাও সারদাকর্তাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করে যাচাই করা হবে। পাশাপাশি, সোনমার্গে গ্রেপ্তার হওয়ার সময় দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলি থেকে তথ্য ইতিমধ্যেই হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এই বিষয়ে দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তাঁরা।
সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সিটের তদন্তকারীরা লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছিলেন, তাঁরা যে তদন্ত প্রক্রিয়া চালিয়েছিলেন, তা উপরওয়ালাদের নির্দেশেই। এটাই রাজীব কুমারের সামনে তুলে ধরা হয়। যদিও রাজীব কুমার বয়ান রেকর্ড পর্বে জানিয়েছেন, সিটের তদন্তকারীদের স্বাধীনভাবে কাজের ক্ষেত্রে কোনও হস্তক্ষেপ করা হয়নি। কেউ কোনও প্রভাব খাটায়নি।