কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
এই রাজ্যের অধিকাংশ জমি কৃষিযোগ্য। তার উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলি কোনও অবস্থাতেই তা হাতছাড়া করতে চায় না। এমন গোলমালেই আটকে পড়েছে জাতীয় সড়কটির সম্প্রসারণ। এই প্রকল্পে দুই লেনের সড়কটি চার লেনের হওয়ার কথা। মালদহের ৫৮টি মৌজায় ২০০৯ সালে সেই কাজের সূত্রপাত হয়। এনএইচএ জমি হাতে পায় ২০১২ থেকে ১৫ সালের মধ্যে। কিন্তু, বেশ কিছু মৌজায় জমিহারাদের তীব্র প্রতিরোধ তখনও বজায় ছিল। সেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায়-দফায় আলাপ-আলোচনা চালানোর পর অনেকাংশেই সেই বাধা মেটানো গিয়েছে। এনএইচএ-এর হিসেবে ফরাক্কা থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত ১০৩ কিলোমিটার প্রস্তাবিত নির্মাণ পথের মধ্যে ৮৪.৪৪ কিলোমিটার তৈরি হয়ে গিয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৯ সালেই মালদহ বাইপাসের কাজও শুরু হয়। কিন্তু, জমিহারাদের পাশাপাশি অধিগৃহীত জমির বেআইনি দখলদাররা সেখানে প্রকল্পের কাজে প্রবল বাধার সৃষ্টি করে। বাঁধাপুকুর এবং রসিলদহতে সেই বাধা ছিল প্রবল। স্থানীয় পুলিস ও প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে এনএইচএ সেই জবরদখলকারীদের সম্প্রতি অন্যত্র স্থানান্তরিত করে। এরপর ২০১৭-১৮ সালে কাজ শুরু হয়। দু’টি লেনের কাজ শেষ হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুরে ইটাহার, রায়গঞ্জ ও করণদিঘির ৯৫টি মৌজায় প্রকল্পটির কাজ হবে। করণদিঘি ও ইটাহার এলাকার কাজ শেষ। কিন্তু, রায়গঞ্জে জমি তাদের হাতে এসেছে ২০১৫ সালে। কিন্তু, এরপরই জমিহারারা তীব্র প্রতিরোধ আন্দোলন শুরু করেন। ফলে মাটি কাটা শুরুর পরও কাজ থমকে যায়। রায়গঞ্জ বাইপাস নির্মাণও আটকে যায়। কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার কাজ ছেড়ে দেয়। ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর নতুন ঠিকাদার নিযুক্ত হয়েছে। তারপরই ৫.৪৬ কিলোমিটার ডালখোলা বাইপাস নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। এই তথ্য উল্লেখ করে এনএইচএ’র দাবি, মামলাকারীর অভিযোগ বিভ্রান্তিকর। এমন অভিযোগ আনার জন্য জরিমানা হওয়া উচিত।
মামলাকারীর আইনজীবী কল্যাণ চক্রবর্তী দাবি করেন, যা বলার তা হলফনামা মারফত এনএইচএ-কে বলতে হবে। অন্যদিকে পূর্ব নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সরকার এদিন কোনও রিপোর্ট জমা করেনি। এর সমালোচনা করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ দুই সরকারকেই দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা করতে বলেছে। তারপর হবে মামলার শুনানি।