কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
বেলা তিনটের মধ্যে ব্রিগেডের সভা শেষ করে সব নেতাই যাবেন আলিপুরের সৌজন্য ভবনে। সেখানে বেলা চারটেয় রয়েছে চা চক্রের আসর। সেখানে বাহারি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দার্জিলিং চা, ফিশ ফ্রাই, আট রকমের কুকিজ, নলেন গুড়ের রসগোল্লা, সন্দেশের পাশাপাশি থাকবে উত্তর ও দক্ষিণ ভারতীয় খাবার। কলকাতার প্রথিতযশা ক্যাটারার ওই চা চক্রে ভেজ, নন ভেজ মেনু তৈরি করছে। বিজেপি বাদে প্রায় সব রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির নেতারা হাজির থাকবেন ব্রিগেডে এবং তারপর চা চক্রে।
চা চক্রেই তৈরি হবে মহাজোটের প্ল্যাটফর্ম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, আঞ্চলিক দলগুলি শক্তিশালী হয়ে মহাজোটের নেতৃত্ব দিক। তাঁর স্লোগান, ইউনাইটেড ইন্ডিয়া। কেউ কেউ চান, কংগ্রেস ও বিজেপিকে বাদ দিয়ে মহাজোট তৈরি হোক। কোনও কোনও দল চায়, কংগ্রেস এই জোটে থাকুক। সেই মতো একটি রূপরেখা তৈরি হবে। আর দু’মাসের মধ্যেই লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে। তার আগেই প্রধান বিরোধী দলগুলি বিজেপিকে হারাতে জোট বাঁধছে। বিজেপিকে ঠেকাতে যার যেখানে ক্ষমতা বেশি, সেখানে সেই দলকে সমর্থন করার পক্ষে মমতা।
দেবেগৌড়া, শারদ পাওয়ার, চন্দ্রবাবু নাইডু, অখিলেশ যাদব, গেগং আপাং প্রমুখ শহরে চলে এসেছেন। তাঁদের আতিথেয়তার জন্য একজন করে রাজ্যের মন্ত্রী বা সংসদ সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যাঁরা শুক্রবারই বিমানবন্দরে পুষ্পস্তবক দিয়ে ভিন রাজ্যের নেতাদের বরণ করেন। বহুদিন পর রাজ্যে জাতীয়স্তরের নেতাদের এনে সমাবেশ হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই শহর সরগরম হয়ে উঠেছে। একদিকে দলীয় কর্মীদের ভিড়, অপরদিকে একাধিক ভিভিআইপি’র উপস্থিতিতে কলকাতা যেন জাতীয় রাজনীতিতে অন্য মাত্রা নিয়েছে।