যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
দক্ষিণবঙ্গের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখেন তদন্তকারীরা। তাতেই জানা গিয়েছে, অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রথমে চেকে পেমেন্ট নিত কর্তৃপক্ষ। তারপর দেখাত সেই অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। সেই অজুহাতকে ঢাল করে নগদে টাকার বিনিময় হয়েছে। ইডির দাবি, একাধিক প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সেলিংয়ে সবাইকে ডেকেছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত যোগ্যদের বঞ্চিত করে বহু ‘টাকার কুমির’ অভিভাবকের অযোগ্য সন্তানকে ভর্তি নেওয়া হয়। একইসঙ্গে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কাগজপত্র জাল করে, ভুয়ো সার্টিফিকেট বানিয়েও ভর্তির অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যে বর্তমানে ১২টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। সেগুলিতে এনআরআই আসন ১৩৬টি। ম্যানেজমেন্ট কোটার আসন হাজারের উপর। সরকারি ফি স্ট্রাকচার কমিটি প্রতি সেমিস্টারে পঠনপাঠনের ফি বেঁধেও দিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, টেবিলের তলায় লেনদেন চলতে থাকে কালো টাকায় ও নগদে।
ইডি সূত্রের খবর, কয়েকমাস ধরে দেশের বহু জায়গায় মেডিক্যালের এনআরআই কোটা নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। তার সূত্র ধরেই নজর পড়ে সল্টলেকের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার দিকে। দেখা যায়, উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে যেভাবে মেডিক্যালে ভর্তির অসাধু চক্র চলছে, বাংলার বেসরকারি কলেজগুলিও সেই অপরাধে পিছিয়ে নেই। প্রাথমিক খোঁজখবরের পর এবার পুরোদমে তদন্ত নেমেছে ইডি।
এদিন সকালেই নিউটাউনের আবাসনে হানা দেয় ইডি। সেখানেই থাকেন যাদবপুরের এক প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। অভিযোগ, তাঁর বাড়িতেই এনআরআই এবং ম্যানেজমেন্ট কোটার টাকাপয়সার ‘ডিল’ ফাইনাল হতো। দুর্গাপুর মহকুমার তিনটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও চলে অভিযান। তদন্তকারীরা মালিকের বাড়িতেও যান। শান্তিনিকেতনের একটি মেডিক্যাল কলেজে হানা দেয় ইডি। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চলে হলদিয়ার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজেও। কলেজের কর্ণধার প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা লক্ষ্মণ শেঠের হাতিবেড়িয়ার বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। চলে তল্লাশি। দিনভর অভিযান নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি ইডি। মন্তব্য করতে চাননি স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমও।