যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
পুরসভার কর্তাদের দাবি, বিকল্প রাস্তা তৈরি করতে হলে সেচদপ্তরের সাহায্য ও অনুমোদন প্রয়োজন। ত্রিবেণী বাসস্ট্যান্ডের কাছে সরস্বতী নদীর উপর একটি সেতু আছে। তার নীচে একটি ছোট সেতু ও রাস্তা তৈরির জন্য সেচদপ্তরকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ২০২২ সালে সেচদপ্তরকে পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প রিপোর্ট পাঠানো হয়। দপ্তর তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করলেও অনুমোদন করেনি। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী বলেন, বাসিন্দাদের অভিযোগ সত্য। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম কিন্তু রাখতে পারিনি। সেচদপ্তরের কাছে ২০২৪ সালেও আমি দু’দফায় আবেদন করেছি। কিন্তু কাজ হয়নি। ত্রিবেণী শ্মশান পুণ্যতীর্থ হিসেবে পরিচিত। ফলে জেলা তো বটেই বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা থেকেও বহু মানুষ ত্রিবেণীতে আসেন মরদেহ দাহ করতে। শববাহী গাড়ি ও শ্মশানযাত্রীদের জন্য শহরে যানজট তৈরি হয়। বিকল্প পথ তৈরি হলে এই সমস্যা থাকবে না। পুরসভার একার পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (সেচ) মদনমোহন কোলে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। জেলার সেচদপ্তরের কাজ নিয়ে প্রতিমাসে বৈঠক হয়। নিয়মিত আমরা নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা করি। সরস্বতীর উপর বিকল্প পথ ও সেতু নিয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলব। ত্রিবেণীর বাসিন্দা ভুটান বিশ্বাস বলেন, পুরসভা গত কয়েক বছর ধরে আমাদের বিকল্প সড়কের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। কিন্তু তা পূরণ করার কোনও উদ্যোগ তারা নেয়নি। আমরা চাই, শহরবাসীর সমস্যা মিটুক আবার শেষযাত্রার আয়োজনও সুষ্ঠুভাবে হোক। কিন্তু, পুরকর্তাদের উদাসীনতাতেই তা সম্ভব হচ্ছে না।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সরস্বতীর নদীর উপর বর্তমান সেতুর তলায় ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু বানিয়ে দিলেই সমস্যা মিটে যাবে। তাহলে শ্মশানমুখী গাড়িগুলিকে আর শহরে ঢুকতে হবে না। কিন্তু সেই কাজই প্রায় তিন বছর ধরে করা যায়নি।-নিজস্ব চিত্র