বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, কুসংস্কারের বশে যে কোনও সমস্যায় ওঝার কাছে যাওয়া দেগঙ্গায় নতুন কিছু নয়। এরআগেও ওঝার কেরামতিতে সাপে কাটা রোগী, ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধিরা দেগঙ্গার বিভিন্ন গ্রামে প্রচার চালালেও তাতে যে খুব একটা কাজ হয়নি, এই ঘটনাই তার বড় প্রমাণ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে সমীরবাবু স্থানীয় বিলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁকে একটি বিষাক্ত সাপ ছোবল মারে। প্রবল যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যায়। ওই ওঝা যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা সমীরবাবুকে শুইয়ে রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঝাড়ফুঁক চালান। ভোর রাতে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওঝা সেই সময় জানান, যা করার তিনি করে দিয়েছেন। কিছু সময় পর যন্ত্রণা আরও কমবে। সমীরবাবু আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়বেন। তারপর সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারবেন। সেই মতো তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর সমীরবাবু আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। নিস্তেজ সমীরবাবুকে ভোরে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পর তাঁর মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে মৃতের দাদা শম্ভু পাড়ুই বলেন, আমরাও অত রাতে হাসপাতালে না গিয়ে ওঝার কাছে গিয়েছিলাম। সেটাই বড় ভুল হয়ে গেল। আগে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভাইকে অকালে হারাতাম না। বিজ্ঞান এবং যুক্তিবাদী মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক প্রদীপ সরকার বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে লাগাতার কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রচার করা হচ্ছে। তারপরও এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। কুসংস্কার এলাকার মানুষদের মধ্যে কতটা গভীরে ঢুকে রয়েছে, এটা তারই প্রমাণ।