বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বছর আগে দেগঙ্গার কে এম চাদপুরের বাসিন্দা রেহেনার সঙ্গে চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের শিমুলিয়া হাজিপাড়ার বাসিন্দা হাবিবুল্লার বিয়ে হয়েছিল। হাবিবুল্লা পেশায় গাড়িচালক। পাত্রপক্ষের দাবি মেনে বিয়ের সময় রেহেনার বাপের বাড়ির তরফে সোনার গয়না, বাইক সহ অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাস দুয়েক বাদেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন গৃহবধূর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে বলে অভিযোগ। এরমধ্যে ওই গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতিতেও পণের দাবিতে তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হয়। সম্প্রতি ওই গৃহবধূর বাবা রিয়াজুল মণ্ডল মেয়ের বাড়িতে আসেন। তিনি মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সোনার হার, চুড়ি সহ লক্ষাধিক টাকার গয়না দিয়ে আসেন। অভিযোগ, সেসব বিক্রির চেষ্টা করে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গৃহবধূ ওই গয়না বিক্রি করতে বাধা দিলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাঁকে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রিয়াজুল মণ্ডল বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আয় কার্যত বন্ধ। তবুও মেয়ের শ্বশুরবাড়ির দাবি মতো লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না দিয়েছিলাম। তাসত্ত্বেও ওরা মেয়ের উপর অত্যাচার করল। এমনকী, পুড়িয়ে মেরে ফেলারও চেষ্টা করে। আমি জামাই ও তার বাবা-মায়ের কঠোর সাজা চাই।