কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
প্রাথমিক তদন্ত শেষে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিং অপারেশনের জন্য ছ’জনের একটি টিম নয়ডা থেকে কলকাতায় আসে। এই দলটি ডিসেম্বর মাসজুড়ে কলকাতার একটি হোটেলে থেকে রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায়, মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, ক্রীড়া দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা এবং কাউন্সিলার সন্দীপ বক্সিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। গোয়েন্দাদের দাবি, এরমধ্যে একমাত্র চন্দ্রনাথ সিনহার হাতে উপহারের বাক্স তুলে দেওয়া ছাড়া তেমন কিছু করে উঠতে পারেনি দলটি।
অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন ব্যক্তি কার্যত জোর করে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের হাতে নানা অছিলায় টাকা, উপহার তুলে দিতে চেষ্টা করছে, এটা জানতে পেরেই সক্রিয় হয় কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দাদের একটি বাছাই করা টিম। এরমধ্যেই স্টিং অপারেশন করতে এসে সাংবাদিকদের দলটি কলকাতা শহরের যে হোটেলে উঠেছিল, তাঁর মালিক ভাড়ার টাকা না পেয়ে কলকাতা পুলিসের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে প্রতারণার মামলা দায়ের হয়।
গোয়েন্দারা লক্ষ্য করেন, কলকাতার হোটেলে থাকার জন্য স্টিংয়ের টিম যে আধার কার্ডের প্রতিলিপি জমা দিয়েছিল, তা জাল। এরপর জালিয়াতির মামলা দায়ের করা হয়। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এস এন মিশ্র নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত কলকাতায় মোট তিনটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। একটি মুচিপাড়া থানায়, দ্বিতীয়টি ভবানীপুর থানায় এবং তৃতীয়টি জোড়াসাঁকো থানায়। কে এই এস এন মিশ্র? লালবাজার বলছে, এই স্টিং কাণ্ডে নাম উঠে আসা রাজীব রায়ের মামা হন তিনি। জোড়াসাঁকো থানায় লিখিত অভিযোগে মিশ্র জানিয়েছেন, স্টিং অপারেশন টিম তাকে মহিলাঘটিত কেলেঙ্কারিতে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
এরপর ডিসেম্বর মাসে লালবাজারের গোয়েন্দাদের একটি দল নয়ডায় হানা দেয়। কিন্তু সেখানে ইমরান পাশা ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। এই স্টিং কাণ্ডের তদন্তে গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন, এই স্টিং কাণ্ডের নেপথ্যে আসলে কে? স্টিং চালানোর জন্য এত টাকার জোগানই বা কোথা থেকে পেল দলটি?