কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ২৩ জানুয়ারি ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেই সময় স্বামী-স্ত্রী এবং এক ছেলে তিনজনকে উদ্ধার করে আর জি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শামিন এবং রাতে সাবিনা বিবি মারা যায় বলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে পুলিসকে জানানো হয়। শুক্রবার রাতে মারা যান কুজ্জুস আলি মোল্লা।
পুলিস সূত্রের দাবি, মারা যাওয়ার আগে তিনজনেরই মৃত্যুকালীন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, রাতে ঘুমাচ্ছিলেন। কীভাবে আগুন লেগেছিল, তা তাঁরা কিছু জানেন না। যদিও শনিবার সন্ধ্যায় সাবিনার পরিবারের পক্ষ থেকে এই আগুন লাগার ঘটনাকে ঘিরে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, কুজ্জুস আলি মোল্লার প্রথম পক্ষের এক স্ত্রী ছিলেন। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর কুজ্জুস সাবিনার সঙ্গে বিয়ে করেন। কিন্তু, কুজ্জুসের প্রথমপক্ষের দুই সন্তান রয়েছে। তাঁদের একজনের বয়স ২৪ এবং আরেকজন ২১ বছর বয়সের। দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকেই তাঁরা আলাদা থাকেন। ছাপনা গ্রামেই কুজ্জুসের বাড়ির কয়েকটি বাড়ির পরে তাঁরা থাকেন। দু’জনেই রঙ মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেন বিভিন্ন জায়গায়। সাবিনার পরিবারের অভিযোগ, কুজ্জুস চাষবাসের কাছে বাইরে থাকলে, তাঁর প্রথমপক্ষের দুই সন্তান বাড়িতে গিয়ে সৎমাকে মারধর করতেন। সাবিনা এই বিষয়টি তাঁর বাপের বাড়ির লোকদের জানিয়েছিলেন।
যদিও সাবিনার বাপের বাড়ির লোকেদের দাবি, তাঁরা কেউ কোনওদিন ওই কথার খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরই তাদের মনে হচ্ছে আগুন লাগার পিছনে অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কিন্তু, তাঁরা শেষ জবানবন্দিতে সেরকম কিছু জানিয়ে যাননি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কুজ্জুস প্রচুর বিড়ি খেতো। সেই থেকেই কোনওভাবে ঘরে আগুন লেগে গিয়েছিল। আর ঘরটি প্লাস্টিক, দরমা সহ একাধিক দাহ্য বস্তু দিয়ে তৈরি থাকায়, দ্রুত তা পুড়ে যায় বলে পুলিসের দাবি। এদিকে, সাবিনার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে।