বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিকে, আক্ষরিক অর্থেই আড়েবহরে বিরাট মিছিল নিয়ে পথ হেঁটে উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, এই বিরাট জনস্রোত প্রমাণ করে মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারি সর্বনাশা, বিভেদকামী আইনকে কী চোখে দেখছে। তিনি এদিন কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএমকে কার্যত একই তালিকাভুক্ত করে বিরোধীদের প্রতি কটাক্ষ করেন। সাংসদ বলেন, কংগ্রেস হচ্ছে খানদানি বিশ্বাসঘাতক। গোটা দেশ বাদ দিয়ে কেবল বাংলায় মিছিল করে তাণ্ডব করা হয়েছে কারণ, এখানে তৃণমূলের সরকার চলছে। মানুষ বারে বারে ওদের জবাব দিয়েছে, ভবিষ্যতে দেবে। এদিন বিজেপির সর্বনাশা আইন প্রয়োগ একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলই রুখে দিতে পারে বলে তিনি দাবি করেছেন। এদিন মন্ত্রী তপনবাবু, জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব, জেলানেতা সুবীর মুখোপাধ্যায়রা বক্তব্য রাখেন।
মিছিলের উদ্যোক্তা তথা চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, আমরা একটা প্রতিবাদী স্বর তুলেছিলাম। এদিন মানুষ তাকে গর্জনে পরিণত করেছে। যেভাবে মানুষ এদিনের মিছিলে এসেছেন, তাতে পরিষ্কার বিজেপির ভুল বোঝানো রাজনীতির আয়ু ফুরিয়েছে। গত লোকসভায় বিজেপির হুগলি লোকসভা জিতে যাওয়ার পেছনে বারবার করেই শাসকদলের দলীয় কোন্দলের বিষয়টি উঠে এসেছিল। খোদ দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী হুগলির গুড়াপে এসে নেতৃত্বকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও বিরোধে কার্যত রাশ পড়েনি।
গত ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী চুঁচুড়ার মিছিলকে কেন্দ্র করে তা প্রকাশ্যেও চলে আসে। সেই মিছিল ডেকেছিলেন খোদ জেলা সভাপতি। তারপরেই দলের জেলা পরিদর্শক ফিরহাদ হাকিম জেলায় বৈঠক করতে এলে আকচাআকচি তুঙ্গে ওঠে। কিন্তু সেখানে একটি পালটা সমীকরণও গড়ে ওঠে। একাধিক বিধায়কের মধ্যে তৈরি হওয়া ঐক্যসূত্রের জেরে ডিসেম্বরের শেষে ওই বিধায়করা মিলেই বিরাট দর্শনীয় মিছিল করে। সেই সময় থেকেই ঐক্যের প্রয়োজনীতার বিষয়টি নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিল। সেই বৃত্তই সম্পূর্ণ করে ফের চুঁচুড়ার পথে যুযুধান নেতৃত্বরা যেমন পথ হাঁটলেন তেমনি বিরাট আয়তন জনস্রোত ফের একবার সঙ্গ দিল শাসকদলের নেতাদের। ফলত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মিছিল হয়ে উঠল দলীয় ঐক্যের চলমান ছবি। যদিও দলের অন্দরে ও বাইরে সমালোচকদের চর্চায় ঐক্যের স্থায়িত্ব নিয়ে চর্চাও চলছে।