বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হাওড়া পুলিস কমিশনারেটের তরফে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কর্তাদের ডেকে বৈঠক করে বলা হয়েছিল, সব এটিএমে যেন নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। কিন্তু, এই দু’টি এটিএমে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না। ফলে পুলিসের ওই আবেদন আদৌ কতটা কার্যকরী হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্দুল বাসস্ট্যান্ডের কাছে বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএমে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এখান থেকে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। দুইল্যার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম শাটার ফেলে বন্ধ করা ছিল। গ্যাস কাটার বা ওই জাতীয় কিছু দিয়ে শাটার কেটে তারপর চলেছে লুটপাট। প্রায় সাত লক্ষ টাকা লুঠ হয়েছে এই এটিএম থেকে।
রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সাঁকরাইল থানার পুলিস। হাওড়া পুলিসের গোয়েন্দারাও ঘটনাস্থলে যান। পুলিসের এক পদস্থ কর্তা জানান, তদন্ত চলছে। সিসি টিভির ফুটেজগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের মনে হয়েছে, একই দুষ্কৃতী দল পরপর দু’টি এটিএমে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আন্দুল বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা নীতিন ঘোষ বলেন, রাত দু’টোর দিকে ঘুম ভেঙে যায়। তাকিয়ে দেখি রাস্তার দিকে প্রচুর ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে এটিএমের দিক থেকে। সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দিই। তারা এসে আগুন নেভায়। তবে কত টাকা লুট হয়েছে বা আদৌ টাকা নিতে পেরেছে কি না, জানি না।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আন্দুল বাজারে অনেকগুলি এটিএম থাকলেও কোনওটাতেই প্রায় নিরাপত্তারক্ষী থাকে না। রাতের দিকে টাকা তুলতে যেতেও ভয় করে। কয়েকদিন আগে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে লিলুয়া থানার বেলগাছিয়ায় এটিএম ভেঙে প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা লুট করা হয়। তারপর এই ঘটনায় হাওড়া জেলার এটিএমগুলির নিরাপত্তার ফাঁকফোকর নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তদন্তকারীদের আরেকটি যে বিষয় ভাবাচ্ছে, তা হল, লুটের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়ার কৌশল। আন্দুল বাসস্ট্যান্ডে যে এটিএম লুট হয়েছে, তার থেকে কিছুটা দূরে ছিল একটি টায়ার, টিউবের দোকান। বাইরে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত টায়ার-টিউব এনে এটিএম কাউন্টারের ভিতরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা।
এটিএম জালিয়াতি এবং লুঠপাট ঠেকাতে সম্প্রতি মেশিনগুলিতে নানা উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। কোথাও না কোথাও ছবি বা চুরির ছাপ থেকেও যেতে পারে, এই আশঙ্কায় দুষ্কৃতীরা পুরো কাউন্টারই পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিল বলে ধারণা তদন্তকারীদের। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।