বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
২৮ জানুয়ারি থেকে কলকাতার সাতটি ও তমলুকের একটি সুফল বাংলার স্টলে মাছ ও মাংসের ওই বিপুল আয়োজন রাখা শুরু হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে গোটা রাজ্যে তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। দাম এখনও ঠিক না হলেও সমস্ত উপকরণই বিক্রি হবে বাজারদরের সঙ্গে সাজুয্য রেখে।
রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, গুণমানে উন্নত মাছ ও মাংস রাজ্যবাসীর হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নানা ধরনের উন্নতমানের সুগন্ধী চাল, মধুর মতোর উপকরণ আমরা আগেই মানুষের হাতে তুলে দিয়েছি। এবার নানা ধরনের মাছ-মাংসও দেওয়া হচ্ছে। ‘কড়কনাথ মুরগি’ পুষ্টিগুণে উন্নত। খোলা বাজারে সেভাবে পাওয়াই যায় না। আমাদের স্টলে সেই মুরগির মাংস থাকবে। বাজারদরের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ওই সমস্ত উপকরণ দেওয়া হবে। জানুয়ারিতেই কলকাতার সাতটি স্টল থেকে নতুন ওইসব উপাদান বিক্রি শুরু হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে গোটা রাজ্যের মানুষ কিনতে পারবেন।
পশ্চিমবঙ্গ এগ্রিমার্কেটিং কর্পোরেশান লিমিটেড ২০১৪ সালে সুফল বাংলা ব্র্যান্ড হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। সেই সময় থেকে তাদের স্টলগুলিতে চাল, মধুর মতো সামগ্রী বিক্রি শুরু হয়। পাশাপাশি হরিণঘাটার মাংস, কোয়েলের মাংসও বিক্রি করা হতো। কিন্তু এবার স্বনির্ভর হয়ে আরও বড় আকারে মাংস ও মাছের সম্ভার নিয়ে নামছে সুফল বাংলা।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত দপ্তরের পশ্চিমবঙ্গ সামগ্রিক অঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের (সিএডিসি) সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে মাছ ও মাংসের যোগান পাওয়ার পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে। এতে একদিকে যেমন সিএডিসি’র সুবিধা হবে, তেমনি সরকারি প্রকল্পের উৎপাদিত পণ্যই সরকারি স্টলে বিক্রি হবে।
২৮ জানুয়ারি থেকে কলকাতার সল্টলেক, চারু মার্কেট, মন্দিরতলা, নিউ আলিপুর, বালিগঞ্জ, নিউটাউন, টালিগঞ্জের সুফল বাংলার স্টলের সঙ্গে তমলুকের একটি স্টলে নতুন ওই মাছ, মাংসের যোগান মিলবে।
সুফল বাংলা’র কর্তারা জানিয়েছেন, কালো মাংসের ‘কড়কনাথ মুরগি’র চাহিদা প্রচুর, কিন্তু তা খোলা বাজারে সেভাবে মেলে না। এই মাংসই এবার স্টলগুলিতে প্রসেসড আকারে মিলবে। সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে দেশি মুরগির উপর। সেই কারণে থাকছে ‘বনরাজা মুরগি’। গ্রামেগঞ্জের ছোট আকারের খাসি যা ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল’ নামে পরিচিত, সেই খাসির মাংসও মিলবে সুফল বাংলায়। আর মৎসপ্রিয় বাঙালির জন্যে থাকছে সরকারি বিলে প্রতিপালিত দেশি রুই ও কাতলা। প্রমাণ আকারের প্রসেসড মাছও মিলবে প্রচুর পরিমাণে। বর্তমান সময়ে ফ্রিস ফ্রাইয়ের জন্যে জনপ্রিয় বাসা মাছের ফিলে বের করে সেই ফিলে বিক্রি করা হবে।
জানুয়ারিতে গুটিকয় স্টল দিয়ে শুরু হলেও, ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যের ১৩৫টি সুফল বাংলা স্টল থেকেই দেশি মাছ ও মাংসের বিক্রি শুরু করতে চান কৃষি বিপণন কর্তারা। দপ্তরের এক শীর্ষকর্তা বলেন, বাঙালির পাতে এবার গ্রামবাংলার মাছ-মাংসের স্বাদ ফেরানোর আয়োজন করা হয়েছে।