নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
হুগলি জেলা পরিষদের খাদ্য সরবরাহ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জব্বার শেখ বলেন, ধান দেরিতে রোয়া হয়েছে বলে এখনও ফসল ওঠানো যায়নি। তবে আমরা সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্যে ক্যাম্প শুরু করে দিয়েছি। বর্তমানে শুধু নাম নথিভুক্ত করার কাজ চলছে। গত বছর এই সময়ে আমরা ধান কেনা শুরু করেছিলাম। কিন্তু আবহাওয়ার জন্যে তা করা যায়নি। পাশাপাশি, এখনও কাজ চালানোর মতো চালের যোগান অনেকটা থাকায় সরকারি পরিষেবায় সমস্যা হবে না। জেলা পরিষদের কৃষি-সেচ কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, খুব দেরি হওয়ার প্রশ্ন নেই। ধান রুইতে দেরি হলেও বীজতলাতে গাছের পর্যাপ্ত বৃদ্ধি হয়েছিল। চলতি মাসের মাঝামাঝিই ধান উঠে যাবে। এবার ফলন এবং ধানের মানও খুব ভালো হয়েছে। ফলে প্রাথমিক পর্বের সমস্যা কাটিয়ে ফলনের ক্ষেত্রে বড় সাফল্য আসছে বলা যায়।
জেলা খাদ্য সরবরাহ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ধান সংগ্রহ করা শুরু হয়েছিল। প্রথম পর্বেই বিপুল পরিমাণে ধান সংগ্রহ হওয়ায় সরকারি লক্ষ্যমাত্র ২ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হয়ে যায়। পরবর্তীতে সেই লক্ষ্যমাত্রা ৩ লক্ষ ৮০ হাজার মেট্রিক টন করে দেওয়া হলেও তাও জেলা খাদ্যদপ্তর পূরণ করে দেয়। কিন্তু এবার আবহাওয়ার সমস্যার কারণে নভেম্বরের প্রথম থেকে ধান কেনার কাজ শুরু করা যায়নি। ধান রোয়ার সময় প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না মেলায় এবার হুগলিতে ধান রোয়ার কাজে দেরি হয়েছিল। তাতেই ফসল দেরিতে ওঠার ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও খাদ্য সরবরাহ দপ্তর ধান কেনার জন্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। জেলার প্রত্যেকটি ব্লকে একটি ক্যাম্প করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ক্যাম্পের সংখ্য বাড়ানোর জন্যেও বলা হয়েছে। গতবারের মতো এবারও ২ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করার প্রাথমিক লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।