নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
এদিন বিতর্কসভার শুরু থেকেই শ্লীলতাহানির বিষয় নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। একপক্ষের অভিযোগ, শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত এমন একাধিক পড়ুয়া নির্বিচারে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে সেরকম কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনেক ক্ষেত্রে ‘তাদের এক্তিয়ার নয়’ বলে এড়িয়ে গিয়েছে তারা। আবার অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগকারিণীকেই সাক্ষ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে বলা হয়েছে। এদিনের বিতর্কসভায় এসএফআই এবং আইসি’র একাধিক নেতাকে এমন সব প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। বিকল্প দলের প্রার্থী কল্পক গুহ বলেন, অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। কিন্তু তাঁরা কোনও বিচার পাচ্ছেন না। আরেক প্রার্থী অপরাজিতা ঘোষের বক্তব্য, কর্তৃপক্ষ আক্রান্তকেই সাক্ষী জোগাড় করে আনার কথা বলছে। ফলে এমন সব অভিযোগ নিয়ে সিরিয়াসলি কোনও কাজ করতে দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষকে।
এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। এরপরই এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে এক ছাত্রী শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনায় পরিস্থিতি বদলে যায়। প্রথমে অভিযোগ করে পরে নিজের বক্তব্য ফিরিয়ে নিতেই আইসি এবং এসএফআইয়ের সদস্যদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। সেটি নিমেষে হাতাহাতিতে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই সভাস্থলে উপস্থিত শিক্ষক এবং ডিনরা আসরে নেমে পড়েন। পড়ুয়াদের সামলান তাঁরাই। এমন ইস্যুতে কী বলছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ? ডিন অব স্টুডেন্টস অরুণ মাইতির বক্তব্য, আইন মেনেই যা করার আমরা করেছি। কয়েকটি ক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণের অভাবে মীমাংসা করা যায়নি। এদিকে, আরও একটি বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। তা হল ক্যাম্পাসে ভাষা সমস্যা। পড়ুয়াদের অভিযোগ, বাংলা ভাষায় কথা বলা বা অন্যান্য কাজ করা নিয়ে অনেক বাধা এসেছে। এমন পরিস্থিতি কাম্য নয়।