কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
পুজো কমিটির সম্পাদক শম্ভু সাহা বলেন, দু’মাস আগে থেকে মণ্ডপের ভিতর প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এবারের বাজেট প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকা। আজ, শুক্রবার বিকেলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার উদ্বোধন করবেন। তা নিয়ে এলাকায় সাজসাজ রব। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় এই পুজো ছাড়া একইদিনে বারুইপুরের মদারহাটে দিশেহারা ক্লাবের কালীপুজোর উদ্বোধন করছেন রাজ্যপাল। বারুইপুর পুরসভার ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝামাঝি অংশে দিশেহারা অবস্থা। তাদের থিম হল ‘আর নয় আত্মহনন, অতলেতে মেলে জীবন’। মণ্ডপটি একটি বিরাট অক্টোপাস। তার ভিতর সমুদ্রের তলদেশের সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়েছে। জেলি ফিশসহ নানা রকম মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাজেট প্রায় ১৫ লাখ টাকা। এর উপদেষ্টা বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব জেলার সভাপতি সুনীপ দাস। তিনি বলেন, এ জগৎ ও জীবন যে কত সুন্দর তা তুলে ধরার জন্য এই পরিকল্পনা।
বারুইপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপাড়া শক্তি সংঘ এবার তাদের মণ্ডপ তৈরি করেছে দার্জিলিংয়ের বৌদ্ধ মন্দির। ১৯ বছরের এই পুজোর মণ্ডপ থার্মোকল দিয়ে হয়েছে। ভিতরে বিভিন্ন মডেল দিয়ে কারুকাজ করা। এছাড়াও রয়েছে একাধিক বুদ্ধমূর্তি। মণ্ডপের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই শ্যামা মায়ের মূর্তি করা হয়েছে। বাইরে চন্দননগরের আলোর কাজ। পুজো কমিটির কর্তা কাউন্সিলার মুজফফর আহমেদ ও সৈকত আহমেদ বলেন, সম্প্রীতির বার্তা দিতেই বৌদ্ধ মন্দির। ভিতরে ঢুকলে দার্জিলিংয়ের মতো ঠাণ্ডা আবহাওয়া পাওয়া যাবে। সেই রকম পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এর উদ্বোধন করবেন। বাজেট প্রায় আট লাখ টাকা।
বারুইপুর-ক্যানিং সড়কের ধারে বেলেগাছি অঞ্চলের রামধারী ব্রিজের কাছে শ্যামামায়ের আরাধনা এবার ৩৭ বছরে পড়ল। সাবেকি প্রতিমা। উদ্যোক্তা রামধারী যুব কল্যাণ সঙ্ঘের সম্পাদক কমল গায়েন বলেন, নিয়মনিষ্ঠা সহকারে এই পুজো হচ্ছে। এলাকার গ্রামবাসী ও ব্যবসায়ীরা মিলিতভাবে পুজোয় অংশ নেন। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের আমরা সবাই ক্লাবের থিম হল ‘মহাকাল’। কামালগাজি মোড়ে সেই অনুসারে মণ্ডপ সাজানো হয়েছে। শিবের বিভিন্ন সময়ে মহাকাল রূপে দর্শন দিয়েছিলেন, তা এখানে দেখানো হয়েছে। পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অভিজিৎ ও সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এবার ৬৩-তম বর্ষে পা দিল এই পুজো। রবীন্দ্রনগর সবুজসাথীর ৫৭-তম বর্ষের থিম হল বাংলা এগিয়ে। বাংলা ও বাঙালি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা মডেলের মাধ্যমে তা তুলে ধরা হয়েছে। যুগ্ম সম্পাদক দেবকুমার দত্ত ও টিঙ্কু ঘোষ বলেন, গোটা মণ্ডপ ও তার বাইরের অংশ সাঁওতালি আদিবাসীদের ঘর, উঠোনের মতো করে সাজানো হয়েছে। যাতে করে আমাদের গ্রাম বাংলার আদি সংস্কৃতি সকলকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যায়।
জয়নগর থানার দক্ষিণ বারাসতের জোড়াপুল যুবগোষ্ঠীর কালীপুজো এবার ৫৩ বছরে পা দিল। জাপানি প্যাগোডার আদলে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। মণ্ডপের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই প্রতিমা তৈরি। এক ক্লাব কর্তা জানান, পুজোর চারদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে। নরেন্দ্রপুর থানার দক্ষিণ কুমরাখালির মিলন সংঘের পুজো ৫০ তম বর্ষে পা দিল। থিম হল বাংলার মা। গ্রামের খড়ের চালাঘর থেকে সেখানকার চালচিত্র মণ্ডপের মধ্যে ও বাইরে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বিশেষ উল্লেখযোগ্য হল, মণ্ডপের ভিতরে পর পর সাজানো রয়েছে কালীঘাটের পটচিত্র। কুঁদঘাটের পূর্ব পুঁটিয়ারি নবোদয় সঙ্ঘের পুজোর ভাবনা হল পঞ্চকালী। মন্দিরের আদলে মণ্ডপ হয়েছে। সভাপতি গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, ৪২ তম বর্ষের এই পুজোর মূল লক্ষ্য হল, দেবী আরাধনার পাশাপাশি প্রাণের সেবা।