কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
পুরসভার কর্মীদের একাংশের মতে, লোকসভা ভোটের আগে বারবার তাগাদা দিয়েও পুর প্রশাসনের বেশ কিছু বড় প্রকল্পের কাজ রূপায়ণ সম্ভব হয়নি। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, খরচ না করতে পারায় ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ মিলিয়ে রাজ্য সরকারের কোষাগারে মোট ২৬৪ কোটি ২২ লক্ষ ৮০ হাজার ৪৪৮ টাকা ফেরত গিয়েছিল। ওই টাকা আবার হাতে পেতে পুর প্রশাসন তৎপর হয়ে ওঠে। রাজ্যের অর্থ দপ্তর ফেরত আসা অর্থের বেশিরভাগটাই পুরসভাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষেও কিছু টাকা ফেরত গিয়েছে। যা নিয়ে প্রশাসনের কর্তারা অস্বস্তিতে পড়েন। পরে মেয়র গোটা বিষয়টি নিয়ে পুনর্মূল্যায়ন বৈঠক করেন। মেয়র এদিন পুর আধিকারিকদের বলেছেন, সামনে পুরসভার নির্বাচন। তাই কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। যত টাকারই টেন্ডার হোক না কেন, তা নিয়ে ‘প্রি-টেন্ডার’ বৈঠক করতে হবে। যে ঠিকাদার টেন্ডারের দায়িত্ব পাবেন, তাঁকে যে অংশে কাজ করতে হবে, সেখানে পুর আধিকারিকদের নিয়ে গিয়ে পরিদর্শন করাতে হবে। মেয়র বলেন, নয়া নির্দেশিকা কার্যকর করতে পুর কমিশনারকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়র পুর প্রশাসনের অর্থ বিভাগের প্রধান (সিএমএফএ) দেবতোষ দাশগুপ্তকে নির্দিষ্ট করে জানিয়েছিলেন, পুরসভার নিজস্ব তহবিলের টাকা খরচে কিছুটা রাশ টেনে বরং রাজ্য সরকারের থেকে যে টাকা উন্নয়নের কাজের জন্য আসছে, তা খরচের ব্যাপারে আরও গুরুত্ব দেওয়া হোক। অর্থ বিভাগ সূত্রের খবর, বিগত মাসগুলিতে দু’টি খাত থেকেই সমানভাবে টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অর্থ বিভাগ সূত্রে খবর, সরকারি অনুদানে প্রাপ্ত অর্থ এবং পুরসভার নিজস্ব অর্থ বিগত মাসগুলিতে সঠিক সময়ে এবং নির্দিষ্ট কাজে নিয়মমাফিক ব্যয় হয়েছে। তাই প্রত্যেকেই আশাবাদী, বিগত অর্থবর্ষগুলির মতো এ বছর রাজ্য কোষাগারে টাকা ফেরত যাবে না।