কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার বিকেলে শহিদ মিনারের বাজি বাজারে গিয়ে দেখা গেল, মাঠের মধ্যে জায়গায় জায়গায় জল জমে রয়েছে। কোথাও কোথাও থকথকে কাদা। দু’-একজন ক্রেতা মাঠে এলেও তাঁরা বাজি কেনার বদলে দেখতেই বেশি আগ্রহী। দোকানের মালিক থেকে কর্মচারীরা বিরস বদনে বসে আছেন। কেউ কেউ গল্পে মজেছেন মুড়ি-বেগুনি সহযোগে। কথা হচ্ছিল বড়বাজারের বাজি বিক্রেতা মহম্মদ আফরোজের সঙ্গে। তিনি বলেন, দক্ষিণ ভারতের শিবকাশীতে প্রায় চার মাস বাজির উৎপাদন আইনি জটিলতায় বন্ধ থাকায় এমনিতেই বেশি দামে অনেক বাজি কিনতে হয়েছে। গত বছরের লোকসানের ধাক্কা রয়েছে। এবার ব্যবসা ভালো হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু এরকম আবহাওয়া যদি শুক্রবারও বজায় থাকে, তাহলে ফের বড়সড় লোকসান হবে। এই বাজি বাজারের অন্যতম কর্তা তথা বড়বাজার ফায়ারওয়ার্কস ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক শান্তনু দত্ত বলেন, সবাই আমরা গালে হাত দিয়ে বসে আছি। শুক্র ও শনিবার যদি আবহাওয়া কিছুটা ভালো হয়, তাহলে হয়তো কিছু মানুষ আসবেন। তবে মাঠ না শুকোলে মানুষের যাতায়াত করতে সমস্যা হবে। আজ ও কাল আবহাওয়ার কিছুটা বদল হলে ব্যবসা জমে উঠবে বলে আশাবাদী তিনি।
টালা বাজি বাজারের সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না বলেন, বৃষ্টির জন্য দুশ্চিন্তা বাড়ছে। তবে কালীপুজোর দু’দিন আগে থেকে বেশি বিক্রিবাটা শুরু হয়। শুক্রবার যদি আবহাওয়া কিছুটা ভালো হয়, তাহলে মানুষ ঠিকই আমাদের মেলায় আসবেন। কিন্তু এরকম আবহাওয়া থাকলে সত্যিই তা উদ্বেগের কারণ। তিনি বলেন, কালীপুজোর তিন-চারদিন আগে যাঁরা আসেন, তাঁরা মূলত আতসবাজির নতুন নতুন ‘আইটেম’-এর খোঁজ করেন। মুখে মুখে প্রচারটা হয়ে গেলে ভিড় উপচে পড়ে। এবার সেই সুযোগটা পাওয়া গেল না। তবে আরও দু’দিন হাতে আছে বলে আমরা আশাবাদী।