কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
নিয়ম মতো ছুটি নিতে গেলে উপাচার্যদের আচার্য এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবের কাছে আবেদন করতে হয়। অনেকে আবার প্রধান সচিবকে চিঠি দিয়ে তার একটি প্রতিলিপি আচার্যকে দিয়ে দেন। এমনটাই হয়ে আসছিল। কিন্তু সেই বৈঠকে দক্ষিণবঙ্গের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষামন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন, ছুটি নিয়ে কার কাছে আবেদন করতে হবে? বর্তমানে কী পদ্ধতি আছে, সে কথাও বলা হয়। এর প্রেক্ষিতে অবশ্য শিক্ষামন্ত্রী সেরকম ইতিবাচক উত্তর দেননি বলেই জানা গিয়েছে। বিষয়টি উপাচার্যদের, তাঁরা ঠিক করে নেবেনে কী করবেন। এমনই উত্তর দেন তিনি।
এমন প্রশ্নের কারণ হিসেবে আরেক উপাচার্য বলেন, ছুটি মঞ্জুর নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। আবেদন করলে তা রাজভবনে পড়ে থাকছিল। তাই ওই বৈঠকে অনেক উপাচার্যই বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন। তাঁদের হয়ে দক্ষিণবঙ্গের ওই উপাচার্য মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন তোলেন। তবে ইদানীংকালে যেভাবে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সংঘাত লেগেই রয়েছে, ছুটি ইস্যুতে অবশ্য পার্থবাবু বিপরীত কোনও মন্তব্য না করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কলকাতার বুকে এক উপাচার্যের ছুটির আবেদন রাজভবনে পাঠানো হলেও, তা বহুদিন ধরেই পড়েছিল। তাতেও সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তাই এমন পরিস্থিতিতে উপাচার্যদের কী করণীয়, তা নিয়ে দোটানায় পড়েন তাঁরা।
মন্ত্রীর সাবধানী উত্তর পেয়ে সমস্যা সেভাবে মিটল না বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। কারণ, তাঁদের প্রশ্ন, রাজ্যপাল হচ্ছেন তাঁদের নিয়োগকর্তা। তিনি ছুটি মঞ্জুর করার মতো এমন ছোট কাজ করবেন কী? তাই বিষয়টি উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবের পর্যায় রাখার পক্ষে ছিলেন তাঁরা। আগামীদিনে ছুটির আবেদন মঞ্জুর নিয়ে শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াবে, তা নিয়ে একটা উদ্বেগ থেকে গেল বলেই দাবি উপাচার্যদের।