সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভদ্রেশ্বরের শীতলাতলার বাসিন্দা শত্রুঘ্ন সিং বাড়ির কাছেই একটি দোকান চালিয়ে সংসার চালাতেন। ছেলে বড় হয়ে ওঠার পর তার হাতেই ব্যবসার ভার তুলে দেন। ভেবেছিলেন বাকি জীবনটা ছেলের উপর ভরসা করেই স্বামী-স্ত্রী কাটিয়ে দেবেন। কিন্তু, তাঁর সেই ভাবনা চিরস্থায়ী হয়নি। ছেলের হাতে ব্যবসার ভার তুলে দেওয়ার পর থেকেই সন্তান ও বউমা মানসিকভাবে শত্রুঘ্নবাবু ও তাঁর স্ত্রীর ওপরে অত্যাচার শুরু করে। প্রথম দিকে তাঁরা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, তাতে অত্যাচার আরও বেড়ে যেতে থাকে। বেশ কিছুদিন ধরে ছেলে ও বউয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি।
তাই লাগাতার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো এদিন সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ তাঁরা বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ঘাটে হাজির হন। সেখানে বসে কিছুটা সময় কাটানোর পর স্বামীও স্ত্রী দু’জনে কোমরে গামছা বেঁধে একসঙ্গে গঙ্গার ঘাটে ঝাঁপ দেন। দু’জনে একসঙ্গে কোমরে গামছা বেঁধে গঙ্গায় ঝাঁপ দিচ্ছেন, ঘাটের পাশে নৌকায় থাকা মাঝি ও গঙ্গার পাড়ে থাকা যাত্রীরা দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে।
এরপরেই ওই দম্পতি কাঁদতে কাঁদতে উদ্ধারকারীদের ছেলের গুণপনার কথা জানান। তারপরেই তাঁরা ভদ্রেশ্বর থানায় ফোন করে ঘটনার কথা জানান। খবর পেয়ে পুলিস এলে এলাকার বাসিন্দারা ওই দম্পতিকে তাদের হাতে তুলে দেন। ঘটনার পর সংবাদ মাধ্যমের কাছে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চায়নি ওই দম্পতির গুণধর ছেলে। আর কোনও দিন বাবা-মাকে অত্যাচার করবে না এই মুচলেকা দিয়ে তাঁদের নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়।