কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশের দিন ময়দান থেকে পার্ক স্ট্রিট ছাড়িয়ে ধর্মতলা পর্যন্ত রাস্তার দু’পাড়ে থাকা বিভিন্ন খাবারের স্টলে একই দৃশ্য চোখে পড়েছে। মছলন্দপুরের বাসিন্দা ৭০ বছরের বৃদ্ধ স্বপন কাবাসি এবং তাঁর স্ত্রী ছায়াদেবী দোকান গোটাতে গোটাতে বললেন, এদিন যা বিক্রি হয়েছে, তাতে আমরা খুশি। ভাবতেই পারিনি সকাল সকাল সব খাবার বিক্রি হয়ে যাবে। আজ কী কী খাবার নিয়ে এসেছিলেন? উত্তরে ছায়াদেবী বলেন, হাতে গড়া আটার রুটি, কষা আলুর দম, আলু ভাজা, ডিমের কারি। চায়ে চুমুক দিয়ে ওই দম্পতি বলেন, খরিদ্দারের চাপে সকাল থেকে কিছু মুখে দেওয়ার ফুরসত পাইনি।
পার্ক স্ট্রিট ও জওহরলাল নেহরু রোডের সংযোগস্থলের ফুটপাত ঘেঁষে ত্রিপলের তলায় শঙ্কর সাধুখাঁর ভাতের হোটেল। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, চার-পাঁচটি ডেকচি পড়ে থাকলেও তাতে খাবার প্রায় নেই বললেই চলে। শঙ্করবাবুর কথায়, ভাত, ডিমের ঝোল, আর পাঁচমিশালি তরকারি ছিল। সঙ্গে ছিল লঙ্কার আচার। বেলা ১২টার মধ্যেই সব শেষ। অন্যান্য দিনে এই খাবার বিক্রি করতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যায়। আশপাশের আরও তিন চারটি ছোট ভাতের হোটেলে একই চিত্র দেখা গেল। ওই ছোট ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) যদি মাঝে মধ্যে ‘ব্রিগেড চলো’র ডাক দেন, তাহলে টানাটানির সংসারে কিছুটা হলেও হাসি ফুটবে।
এদিন ব্রিগেড ও সংলগ্ন এলাকায় অনেককেই দেখা গেল খাবার ফেরি করতে। কেউ আবার মাঠের ধারেই বসে পড়েছেন ঝালমুড়ি, ঘটি-গরম, মুড়ি তেলেভাজা, ডিম টোস্ট, মিষ্টি, আইসক্রিম, ফল নিয়ে। তাঁদের পকেটও ভারী হয়েছে সময়ের সঙ্গে। ময়দান স্টেশনের কাছেই জনৈক অতুল নস্কর চিৎকার করে বিক্রি করছিলেন ঘটি-গরম। ন্যূনতম দাম ১৫ টাকা। প্যাটিস, নিমকি, কেক, সিঙাড়া—সব কিছুই বিকিয়েছে একটু চড়া দামে। সব মিলিয়ে এদিন মমতার ব্রিগেডকে ঘিরে লক্ষ্মীলাভ হয়েছে সব খাবার বিক্রেতার। তাই তাঁদের চোখমুখ খুশিতে চিকচিক করছিল।