বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ

উপাসনাস্থল আইনকে চ্যালেঞ্জ, বৃহস্পতিবার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

নয়াদিল্লি: অযোধ্যার রামমন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্ক ঘিরে তখন উত্তাল দেশ। সেই উত্তেজনার মধ্যেই গেরুয়া শিবির স্লোগান তুলছে, ‘অযোধ্যা তো বাস ঝাঁকি হ্যায়, কাশী মথুরা বাকি হ্যায়’। ফলে অযোধ্যার আঁচ যাতে আর অন্য কোনও উপাসনাস্থলে গিয়ে না পড়ে সেজন্য আইন এনেছিল কেন্দ্রের নরসিমা রাও সরকার। ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ ধারা) আইন। ওই আইনের বক্তব্য, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট যে উপাসনাস্থল যেমন অবস্থায় ছিল, তার চরিত্র বদলানোর জন্য আইনি আবেদন করা যাবে না। অর্থাৎ, মন্দির থাকবে মন্দির, মসজিদকে রাখা হবে মসজিদ হিসেবেই। অন্য ধর্মগুলির উপাসনাস্থলেও বদল আনা যাবে না। ১৯৯১ সালের এই আইনের বেশ কিছু ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একঝাঁক আবেদন এসেছিল। তার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট জানাল, তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ ওই আবেদনগুলি শুনবে। শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, বিশেষ বেঞ্চের নেতৃত্বে থাকবেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। বেঞ্চের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং কে ভি বিশ্বনাথন। আগামী ১২ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার হবে শুনানি।
অযোধ্যার সেই বিতর্কিত স্থানে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রামমন্দির তৈরি হয়েছে। তারই মধ্যে সম্প্রতি কাশীর জ্ঞাপবাপী, মথুরার শাহি ঈদগাহ নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছে। সম্ভলের মসজিদে এএসআই সমীক্ষার নির্দেশ ঘিরে হিংসা ছড়িয়েছে। বিতর্ক তৈরি হয়েছে আজমির দরগা নিয়েও। এমন অবস্থায় ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইনকে খতিয়ে দেখার আবেদন ঘিরে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ গঠনের সিদ্ধান্ত খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে ওই আইনের কিছু ধারাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের করা আবেনের প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের মার্চে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। ওই আবেদনের বক্তব্য ছিল, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার নাম করে ১৯৯১ সালের আইনটি তৈরি করা হয়েছিল। যদিও আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত (সপ্তম তফসিল, দ্বিতীয় তালিকা, এন্ট্রি-১)। আবার ‘ভারতে তীর্থযাত্রাস্থল’ বিষয়টিও রাজ্যের হাতে (সপ্তম তফসিল, দ্বিতীয় তালিকা, এন্ট্রি-৭)। তাই কেন্দ্র এই আইন বানাতে পারে না। ১৩ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সরকার এমন কোনও আইন তৈরি করতে পারে না যার ফলে মৌলিক অধিকারণ হরণ করা হয়। কিন্তু বর্বর হানাদারদের হাতে ধ্বংস হওয়া উপাসনাস্থলগুলির উপর পুনর্দাবি প্রতিষ্ঠায় হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখদের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করেছে ১৯৯১ সালের আইনটি। পাশাপাশি, প্রভু রামের জন্মস্থানকে (অযোধ্যা প্রসঙ্গে) এই আইনের আওতার বাইরে রাখা হলেও শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানকে (মথুরা বিতর্ক) তার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদিও তাঁরা দু’জনেই প্রভু বিষ্ণুর অবতার ও গোটা বিশ্বজুড়ে পূজিত হন। তাই ওই আইন একপেশে।
যদিও এর মধ্যে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ কর্তৃপক্ষও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইনকে চ্যালেঞ্জ করে পেশ হওয়া আবেদনগুলি খারিজের দাবি জানিয়েছে তারা। জ্ঞাপবাপী কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ১৯৯১ সালের আইনটি অসাংবিধানিক বলে ঘোষিত হলে তার ফলে আইন-শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হবে।
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

গৃহে শুভ অনুষ্ঠানের আয়োজন। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থব্যয় বাড়তে পারে। মনের অস্থিরতা-উত্তেজনা দমন করুন।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৬.০৮ টাকা৮৭.১৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.৪২ টাকা১০৮.৩৩ টাকা
ইউরো৮৮.৮৮ টাকা৯১.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা