নয়াদিল্লি: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলা চলছেই। সব জেনেও মহম্মদ ইউনুসের সরকার ‘গান্ধারী’র ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ। তারই মধ্যে এবার চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এল। সূত্রের খবর, তুরস্ক থেকে কেনা অত্যাধুনিক ড্রোন পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে মোতায়েন করেছে ঢাকা। গোয়েন্দা সূত্রে বিষয়টি জানার পর সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়িয়েছে ভারত।
এদিকে, ফের হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশে।  এবার নির্মম অত্যাচারে মৃত্যু হল এক হিন্দু মহিলার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের খাগড়াছাড়ি জেলায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের জেলা আহ্বায়কের বাড়িতে হানা দেয় একদল যুবক। বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সময়ই বাধা দিতে যান ওই নেতার মা চুমকি দাস। বেধড়ক মারধর করা হয় ওই মহিলাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগ, ঘরের গয়নাও চুরি গিয়েছে। এমনকী ওই মহিলার গলায় থাকা তুলসীর মালাটিও ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করায় এক হিন্দু যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ইউনুস সরকার। বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ থেকে বিপ্র দাস নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। 
এরই মধ্যে খবর, সীমান্তের একেবারে নাকের ডগায় বেরাকতার টিবি২ ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ। এই ড্রোনগুলি বাংলাদেশের ৬৭তম আর্মির অধীনে রয়েছে। মূলত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও নজরদারির কাজে এগুলি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু চলতি পরিস্থিতিতে এই ড্রোনগুলি ভারত সীমান্তে মোতায়েনের রিপোর্ট খতিয়ে দেখছে ভারতীয় সেনা। ঢাকার দাবি, আত্মরক্ষার প্রয়োজনে তুরস্ক থেকে এই ড্রোনগুলি আনা হয়েছে। কিন্তু এধরনের অত্যাধুনিক ড্রোন সীমান্তের কাছে মোতায়েনের নেপথ্যে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে মৌলবাদীদের দাপাদাপি চলছে। সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধির গেয়েন্দা তথ্যও আসছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে জঙ্গি ও পাচারকারীরা অনুপ্রেবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে ড্রোন মোতায়েনের রিপোর্টটিকে ভারত হাল্কাভাবে নিতে নারাজ। এক গোয়েন্দা আধিকারিক বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই সীমান্ত এলাকাগুলিতে ভারত বিরোধী কাজকর্ম বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় একযোগে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ভারত সীমান্তের কাছে অত্যাধুনিক ইউএভি মোতায়েন নিশ্চিতভাবেই বাড়তি নজরদারির প্রয়োজন রাখে।