দেশ

‘মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুই নয়’, রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে পাল্টা মোদির মুখ্য উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে নাজেহাল আম জনতা। কিন্তু মানতে নারাজ কেন্দ্র। অভিনব দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। একদিকে মোদি সরকার, অন্যদিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। আরবিআই বারবার বলছে, অর্থনীতির গতির অন্যতম প্রধান প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াচ্ছে মূল্যবৃদ্ধি। আর সেই কারণেই ইচ্ছা থাকলেও তারা রেপো রেট কমাতে পারছে না। আর এতেই গোঁসা হয়েছে মোদি সরকারের। কারণ মূল্যবৃদ্ধি বলে যে কিছু রয়েছে, এটা তারা মানতেই চায় না। এবার সেই সুর স্বয়ং মোদি সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অনন্ত নাগেশ্বরণের গলায়। দাবি করলেন, জিডিপি কমে যাওয়া নিয়ে কিংবা মূল্যবৃদ্ধি কোনও ইস্যুই নয়। এসব নিয়ে অতিশয়োক্তি হচ্ছে।
এর আগে কখনও কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল, কখনও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, রেপো রেট কমানো উচিত। যতটা বলা হচ্ছে, মূল্যবৃদ্ধি নাকি সেরকম নেই। বেশ কয়েকমাস ধরে চলছে এই স্নায়ুর লড়াই। আজ, শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকের শেষদিন। রেপো রেট আবার অপরিবর্তিত নাকি শেষপর্যন্ত সরকারের প্রবল চাপে তা কমাতে বাধ্য হল আরবিআই—জানা যাবে কয়েক ঘণ্টা পরেই। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণার প্রাক্কালেই বণিকসভা অ্যাসোচেমের এক অনুষ্ঠানে নাগেশ্বরণের বার্তায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আর্থিক বিশেষজ্ঞ মহলে। তিনি সাফ জানিয়েছেন, খাদ্যের কয়েকটি পণ্যের দাম হয়ত সামান্য ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, মূল্যবৃদ্ধির হার বিরাট চিন্তাজনক। কোনও পরিসংখ্যানই যেন সরকারের কাছে আর উদ্বেগজনক নয়, নাগেশ্বরণের কথায় সেটা স্পষ্ট। তাঁর আরও দাবি, জিডিপি বৃদ্ধিহার ৫.৪ শতাংশ হয়েছে তো কী হয়েছে? তার মানে কি অর্থনীতির গতি রুদ্ধ হয়ে গেল? কিছুই হবে না। অর্থনীতি সঠিক পথেই আছে। এমনকী সাধারণ মানুষ নাকি পণ্যক্রয় অব্যাহত রেখেছে। আর বিশ্বব্যাপী এত আর্থিক সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও রপ্তানি বাণিজ্য উন্নতি করেছে যথেষ্ট। তবে একথা তিনিও স্বীকার করেছেন যে, সমস্ত সেক্টরকে আরও বৃদ্ধিহারের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আর সেটা সরকারকেই করতে হবে। অর্থবর্ষ শেষে ৬.৫ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধিহার স্পর্শ করা সম্ভব বলেও আশাবাদী মোদি সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা।
মূল্যবৃদ্ধির প্রশ্নে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং সাধারণ মানুষের বিপরীত অবস্থানে নাগেশ্বরণ। তিনি বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির আচার আচরণ তো ঠিকই আছে। ইতিবাচক। একথা ঠিক যে কিছু কিছু খাদ্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার যথেষ্ট চড়া হয়ে গিয়েছে, কিন্তু সামগ্রিক মূল্যবৃদ্ধির হারের পরিসংখ্যানে তো সেটা বেশ নগণ্যই।’ অথচ ২০২২ সালের মে মাস থেকে প্রায় প্রতিটি নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে রেপো রেট বাড়িয়ে গিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ফলে জনগণের হয়েছে দ্বিগুণ সঙ্কট। বাজারও আগুন, আবার ব্যাঙ্কঋণ বাবদ ইএমআইয়ের আঁচও অগ্নিসম। রেপো রেট বাড়ানো হলে মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, এই ছিল আরবিআইয়ের ঘোষণা। কিন্তু রেপো রেট ৪.৪ থেকে বাড়তে বাড়তে ৬.৫ শতাংশ হয়ে গেলেও মূল্যবৃদ্ধি কমল না। সেই সময় (২০২৩ সালের নভেম্বর) রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিয়েছিল, তাদের পক্ষে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তা আজও সম্ভব হয়নি। কিন্তু সরকার মনে করে, খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি খুব একটা চিন্তাজনক নয়। 
20d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.২৮ টাকা৮৬.০২ টাকা
পাউন্ড১০৪.৮৬ টাকা১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো৮৬.৮৬ টাকা৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
25th     December,   2024
দিন পঞ্জিকা