Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অন্নদাতা না ভোটব্যাঙ্ক!
মোশারফ হোসেন

সালটা ছিল ১৯০১। আঠাশ বছর বয়সি এক সুঠাম যুবক কলকাতা থেকে বরিশালের চাখার গ্রামের দিকে চলেছেন। সেখানেই তাঁদের বেশ কয়েক পুরুষের বসবাস। যুবকটি এর আগে কলকাতার রিপন কলেজ থেকে একইসঙ্গে তিনটি বিষয়ে অনার্সসহ গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের পাশাপাশি আইনও পাশ করেছেন। কিছুদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতের শিক্ষক হিসেবে কাজ করলেও অল্পদিনের মধ্যেই তা ছেড়ে আইন ব্যবসাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বাংলার বাঘ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের জুনিয়র হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করছেন। অল্পস্বল্প সুনামও অর্জন করেছেন।
সেদিন সেই ঝকঝকে যুবকটি বরিশালের দেহেরগতিতে সবে খেয়া পার হয়েছেন। ওখান থেকে তাঁর গ্রামের বাড়ি খুব দূরে নয়। অনেকদিন বাদে ফিরছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা হবে। উৎফুল্ল মন। খেয়া নৌকা থেকে নেমে সামান্য এগতেই একটা শিশুকণ্ঠে তীব্র কান্নার আওয়াজ কানে পড়ল। তাকিয়ে দেখলেন, কিছুটা দূরে নদীতীরের একটা কুঁড়েঘরের সামনে ছোটখাটো ভিড়। মনে হল শিশুর কান্নার শব্দটা ওখান থেকেই আসছে। কৌতূহলী যুবক জোরে পা চালিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই কুঁড়েঘরের সামনে পৌঁছে গেলেন। দেখলেন, গরিব পরিবারের সংসারের যা কিছু সম্বল—সামান্য টিনের তোরঙ্গ থেকে শুরু করে তৈজসপত্র, থালা বাসন, ঘটি বাটি, বালতি কড়াই, লাঙল, কোদাল, কাস্তে প্রভৃতি সমস্ত কিছু উঠোনের এক পাশে জড়ো করা রয়েছে। আর, সাত-আট বছরের একটি শিশু মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। তার খালি গা। তবে দু’হাত দিয়ে শক্ত করে বুকে চেপে রেখেছে ছোট্ট একটা কাঁসার থালা। ওই থালাটি কেড়ে নিতে থানার পেয়াদা জোরাজুরি করতে গেলেই সে প্রতিবাদ জানিয়ে চিৎকার করে কাঁদছে। ওই থালাটুকু না নেওয়ার কাতর আর্জি জানিয়ে শিশুটির বাবা-মা পেয়াদাকে অনুনয় বিনয় করছে। কিন্তু পেয়াদার হম্বিতম্বি থামছে না। ওদের ঘিরে জড়ো হওয়া জনতা নীরবে ঘটনাটি উপভোগ করছে। শহুরে পোশাক-আশাক পরিহিত আগন্তুক যুবককে দেখে শিশুটির আশঙ্কা যেন আরও বেড়ে গেল। সে আরও তীব্রস্বরে কাঁদতে লাগল। জনতাও খানিকটা সরে দাঁড়াল। পেয়াদাকে প্রশ্ন করে যুবকটি জানতে পারলেন, কুটিরের বাসিন্দা লোকটি এক গরিব চাষি। দেনার দায়ে তার সর্বস্ব ক্রোক হয়েছে। সেগুলি নিতেই লোকজনসহ পেয়াদা এসেছে। চাষির ঘরের বাকি সমস্ত সামগ্রী বিনা বাধায় হস্তগত হয়েছে। বাকি কেবল ওই ছোট্ট থালাটি। শিশুটি ওই ছোট্ট কাঁসার থালাটি কিছুতেই হাতছাড়া করতে রাজি নয়। কারণ, ওই থালাতেই সে রোজ খায়।
শিশুটির কান্না যুবকের হৃদয়ে অদ্ভুত মোচড় দিল। তিনি তৎক্ষণাৎ নিজের পকেট থেকে চাষির সেই ঋণের টাকা মিটিয়ে দিলেন। পেয়াদার হম্বিতম্বি বন্ধ হল। আর, প্রিয় থালাটি কাছে রাখতে পেয়ে শিশুর মুখে হাসি ফুটল। গ্রামের বাড়িতে ফিরলেও নদীতীরের ঘটনাটি অস্থির করে তুলেছিল চাখারের সেই যুবকটিকে। তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন, যে ভাবেই হোক, বাংলার গরিব কৃষকদের তিনি মহাজনি ঋণের ফাঁস থেকে মুক্ত করবেন। কয়েকদিনের মধ্যেই বরিশাল শহরে গিয়ে সটান দেখা করলেন আধুনিক বরিশালের নির্মাতা অশ্বিনীকুমার দত্তের সঙ্গে। অশ্বিনীকুমার সেসময় ওই এলাকার অত্যন্ত প্রভাবশালী ও সম্মাননীয় কংগ্রেস নেতা। বরিশাল পুরসভার চেয়ারম্যান। যুবকটি নিজের পরিচয়সহ কয়েকদিন আগের ঘটনাটি বিবৃত করলেন। বললেন, গরিব চাষির দুঃখ ঘোচানোর কিছু আমি কিছু করতে চাই। কোন পথে যাব, উপদেশ দিন। অশ্বিনীকুমার বললেন, রাজনৈতিক নেতারাই পারেন এমন সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে। তাঁরাই আইনসভার সদস্য হন। আইন কানুন বানান। তোমার লক্ষ্যপূরণের জন্য রাজনীতির ময়দানই সঠিক পথ। প্রবীণ নেতার বক্তব্য যুবককে প্রচণ্ড প্রভাবিত করল। তিনি রাজি হলেন রাজনীতিতে নামতে। অশ্বিনীকুমার দত্তের আশীর্বাদে অল্পদিনের মধ্যেই যুবকটির জীবনের মোড় ঘুরে গেল। ভোটে দাঁড়িয়ে বরিশাল পুরসভার কমিশনার নির্বাচিত হলেন। কিছুদিনের মধ্যে জেলা বোর্ডের সদস্যও। আরও পরে নিজের প্রতিজ্ঞাপূরণের লক্ষ্যে সেদিনের যুবকটি একটি রাজনৈতিক দলের জন্ম দিয়েছিলেন। নাম কৃষক প্রজা পার্টি। দলটির নির্বাচনী প্রতীক ছিল লাঙল। দলের প্রধান স্লোগান—‘লাঙল যার, জমি তার, ঘাম যার, দাম তার’। অল্পদিনের মধ্যেই কৃষিপ্রধান বাংলায় ওই দলটি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তিনি একবার কলকাতার মেয়র ও পরে ১৯৩৭ সালে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ( সেসময় মুখ্যমন্ত্রী পদটি ওইনামেই অভিহিত হতো) পদে আসীন হন। প্রধানমন্ত্রী পদে বসেই প্রথম যে উল্লেখযোগ্য কাজটি করেছিলেন, তা হল ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন। এই বোর্ডের মাধ্যমেই দীর্ঘকালীন মহাজনি ঋণের ফাঁস থেকে বাংলার গরিব কৃষকদের মুক্তির দিশা মেলে। এই মানুষটির নাম এ কে ফজলুল হক। বাংলার বাঘ আশুতোষের প্রিয় এই ছাত্র নিজেও একসময় ‘শের এ বাংলা’ অভিধায় ভূষিত হয়েছিলেন। শোনা যায়, ‘প্রিয় স্যার’ আশুতোষের পুত্র শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রথমবার মন্ত্রী হওয়ার পিছনে ফজলুল হকের বিশেষ ভূমিকা ছিল। পরবর্তীকালে ভিন্ন দুই দলের নেতা হিসেবে দু’জনে বাংলায় যৌথ সরকার গড়েছিলেন যা শ্যামা-হক সরকার বলে পরিচিতি লাভ করেছিল।
সেই ১৯০১ সালের পর শতাধিক বছর কেটে গিয়েছে। দেশ সত্তর বছরেরও বেশি স্বাধীন। কিন্তু ঋণের ফাঁস থেকে কৃষকের সত্যিকারের মুক্তি আজও ঘটেনি। দেনার দায়ে দেশে প্রতিবছরই বেশ কয়েক হাজার কৃষককে আত্মহত্যা করতে হয়। ভোটের পর ভোট আসে। কৃষককে নিয়ে রাজনীতি হয়। তাদের সমর্থন নিয়ে দড়ি টানাটানি চলে। ভোট চলে যায়। কারও বিদায় ঘণ্টা বাজে। কেউ ক্ষমতায় আসে। কিন্তু কৃষককুল প্রায় পুরনো তিমিরেই রয়ে যায়। কারণ, কৃষককে স্থায়ীভাবে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য যে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা তৈরি এবং তা রূপায়ণে কঠোর নিষ্ঠা প্রয়োজন, তার অভাব রয়েই যায়। এর জন্য গভীর ভাবনা-চিন্তা প্রয়োজন। প্রয়োজন প্রকৃত আন্তরিকতা।
এদিকে, ভোটের দায় বড় দায়। তুলসীপাতার যেমন ছোটবড় বলে কিছু নেই, ভোটের বেলায়ও তাই। শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার ভোটের দামই সমান। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সামনে কোনও ভোট এসে পড়লে রাজনীতির লোকজনের মধ্যে কৃষকপ্রীতি চনমন করে ওঠে। বিপুল সংখ্যক কৃষক পরিবারের ভোটারদের প্রভাবিত করতে ঋণমকুবের দাবি তোলা হয়, প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় অথবা ঋণমকুবের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই সহজলভ্য জড়িবুটিতে রোগের সাময়িক উপশম হয় বটে, কিন্তু আসল সমস্যা রয়েই যায়। বরং রোগকে আরও গুরুতর করে তোলে। মরশুমের শুরুতে যথাসময়ে সহজ পথে ঋণ থেকে শুরু করে সুবিধাজনক মূল্যে চাষের উপকরণ জোগানো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরবর্তী স্তরে সেচের সুবিধা, উৎপাদিত ফসল লাভজনক মূল্যে সহজে বিক্রির ব্যবস্থা আরও গুরুত্বপূর্ণ। আর, চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সঠিক চাষিটিই যাতে বিমার টাকা অথবা ক্ষতিপূরণ পান, তাও সুনিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নিয়ম কানুনের কিছু সংস্কার জরুরি। নইলে, কেবল নির্দিষ্ট এলাকায় জমি থাকার সুবাদেই ক্ষতিগ্রস্ত অথবা ক্ষতিগ্রস্ত-নন, এমন সবাই একইভাবে খয়রাতি পেলে সুবিচার হয় না। আর, ঋণ মকুবের বিষয়টিকে সাধারণ নিয়মে পরিণত করা হলে ঋণ পরিশোধের প্রবণতা কমে। এতে প্রকৃত অসহায় ঋণগ্রস্ত চাষিদের চেয়েও কিছু ধান্দাবাজের পোয়াবারো হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই টোটকায় ভোটের বাক্স হয়তো ভরে, কিন্তু দেশের অর্থনীতির বাক্স খালি হতে থাকে। ব্যাঙ্কের হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ শোধ না-করা, টাকা মেরে বিদেশ পালিয়ে যাওয়া ধনীরা দেশের শত্রুর পর্যায়েই পড়ে। আর, চাষির সমস্যার স্থায়ী সুরাহা করার উদ্যোগ না নিয়ে কেবল ভোটের লক্ষ্যে তাদের ঋণের ঘায়ে সস্তা মলম লাগানোও প্রকৃত বন্ধুত্বের পর্যায়ে পড়ে না। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাড়ে চার বছর ঘুমিয়ে থাকলেও শেষবেলায় হঠাৎ জেগে উঠেছেন। লোকসভা ভোটের কড়া নাড়ার আওয়াজ শুনে বলছেন, কৃষকদের তিনি ‘অন্নদাতা’ ভাবেন।
বড্ড দেরি করে ফেলেছেন মোদিজি! এই বোধোদয়টি খানিক আগে হলে মঙ্গল হতো। আপনার তো বটেই, দেশেরও।
08th  January, 2019
নলজাতক কৌরব ও চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায়
শুভময় মৈত্র

শুরুতেই বলে নেওয়া ভালো যে প্রতি ইংরেজি বছরের শুরুতে ভারতে যে জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলন (ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস) হয় তা আজকের দিনে অত্যন্ত সাধারণ মানের। ‘সম্পূর্ণ নিম্নমানের’ কথাটা ব্যবহার করা ঠিক হবে না।  
বিশদ

15th  January, 2019
‘প্রায় সব ভারতবাসীই গরিব’
পি চিদম্বরম

 কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আপাতভাবে, ওটাই নরেন্দ্র মোদির সরকারের মত। এই মতের পক্ষে সমর্থনের স্পষ্টতা রোজ বাড়ছে। সেই স্পষ্টতার সর্বশেষ নিদর্শন পাওয়া গেল তড়িঘড়ি সংবিধান (১২৪তম সংশোধন) বিলের খসড়া তৈরি (৭ জানুয়ারি) এবং তা সংসদে পাশ (৯ জানুয়ারি) হয়ে যাওয়ার মধ্যে।
বিশদ

14th  January, 2019
মমতার নেতৃত্ব ছাড়া বিরোধীদের
লোকসভা জয়ের স্বপ্ন সফল হবে?
শুভা দত্ত

তিন রাজ্যের ভোটে ভালো ফল করার পর যে জাতীয় স্তরে কংগ্রেস ফের খানিকটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তাতে সন্দেহ নেই। লোকসভার ভিতরে বাইরে তাদের নেতা রাহুল গান্ধীর কথাবার্তা ও শরীরী ভাষাতেও সেটা পরিষ্কার। বিশেষ করে রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে তাঁর বাগ্‌যুদ্ধ এবং উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের তরজায় এখন কংগ্রেস সভাপতি রাহুলকেই যেন অপেক্ষাকৃত ধারালো, তরতাজা দেখাচ্ছে!
বিশদ

13th  January, 2019
তিন তালাক বিল অমানবিক ও বৈষম্যমূলক
শামিম আহমেদ

রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশন ৯ জানুয়ারি শেষ হল, তিন তালাক বিল লোকসভায় পাশ হলেও রাজ্যসভায় হল না। বিরোধীরা বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবিতে অনড় রইল।
বিশদ

12th  January, 2019
মহাকাশ-চর্চায় ভারতকে স্যালুট জানাচ্ছে গোটা দুনিয়া
মৃণালকান্তি দাস

 মহাকাশ জয় নিয়ে আমেরিকা ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের স্নায়ুযুদ্ধের মধ্যেই ইন্দিরা গান্ধী চেয়েছিলেন অন্তত একজন ভারতীয় মহাকাশে যাক। আর তার জন্য বন্ধু দেশ রাশিয়ার সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। ইতিহাস তৈরি হয়েছিল ১৯৮৪ সালের ২ এপ্রিল। বিশদ

11th  January, 2019
মমতার ব্রিগেডে মিলতে পারে
অনেক রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ-রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়ে যাবে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারিতে বামেদের সমাবেশ রয়েছে ব্রিগেডে। বিজেপি ৭ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের কথা ঘোষণা করলেও, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ আটকে পড়ায়, ২৯ জানুয়ারি নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে ব্রিগেডে সমাবেশ করার কথা নতুন করে ভাবছে।
বিশদ

10th  January, 2019
রিপোর্ট কার্ডে ‘ফেল’
পি চিদম্বরম

আমি দিল্লি থেকে লিখছি, যেটা পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল মহানগরীর একটা। এখনও শীতকাল। গত সপ্তাহে যে বসন্তের উল্লেখ করেছিলাম তা এখনও কয়েক সপ্তাহ দূরে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচ রাজ্যের ভোটে সবক’টাতে পরাজয় সত্ত্বেও বিজেপি নেতৃত্ব এখনও সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপ্রবণ, উদ্ধত এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাচ্ছিল্যপূর্ণ।
বিশদ

07th  January, 2019
দু’দিনের বন্‌ধ সফল করে কি সিপিএম ভাবমূর্তি ফেরাতে পারবে?
শুভা দত্ত

 সিপিএমের প্রবীণ নেতা বিমান বসু একটি প্রস্তাব রেখেছিলেন। সরাসরি অবশ্য প্রস্তাবটা রাখেননি বিমানবাবু, রেখেছিলেন আকারে ইঙ্গিতে, ঘোরানো কথায়। কিন্তু, রাজ্যের রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণজন সকলেই তাঁর সেই ঘোরানো-প্যাঁচানো কথার মধ্যেকার আসল বক্তব্যটি ধরে ফেলেছিলেন।
বিশদ

06th  January, 2019
প্রধানমন্ত্রী: আকস্মিক বনাম আত্মঘাতী
শুভময় মৈত্র

 ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ বইটি এবং তার ওপর ভিত্তি করে লেখা সিনেমা নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক সম্পর্কে অনেকেই অবহিত। ২০১৪ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে নিয়ে একটি জীবনী প্রকাশ করেন সঞ্জয় বারু। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংবাদমাধ্যম ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঞ্জয়বাবুর যথেষ্ট পরিচিতি আছে।
বিশদ

05th  January, 2019
সংবিধান ৭০
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক কেমন সম্পর্ক ছিল তখন জওহরলাল নেহরু আর মহম্মদ আলি জিন্নার? ১৯৪৬ সালের কলকাতা দাঙ্গার পর, নোয়াখালি, তারপর বিহার, তারপর পাঞ্জাব। রক্তগঙ্গা বইছে। ঠিক সেই সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অ্যাটলি ভারতীয় নেতাদের ডেকেছিলেন একটি মিটিংয়ে। মাল্টা হয়ে লন্ডন।
বিশদ

04th  January, 2019
আলসেখানার বাসিন্দা থেকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশের ভোটে ৩০০ আসনে তিনিই ছিলেন মুখ! দুর্নীতির জালে আটকে পড়া, পাকিস্তান প্রেমে মত্ত আর ধর্মীয় উগ্রবাদে আস্থা রাখা বিরোধীদের সঙ্গে লড়াইটাও ছিল তাঁর একার। নির্বাচনের আগাগোড়া আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর দল আওয়ামি লিগ ফের জিতবে।
বিশদ

03rd  January, 2019
স্বাগত ২০১৯, নতুন বছরে একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই
হিমাংশু সিংহ

বিদায় ২০১৮। গত বারোমাসের হাজারো উজ্জ্বল এবং তারই মধ্যে কিছু কিছু ধুলো মলিন মন ভারাক্রান্ত করা স্মৃতিকে বিদায় দিয়ে দ্বিগুণ উদ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। আগামী ৩৬৫ দিনে সবচেয়ে বড় যে দুটি মেগা ইভেন্ট প্রত্যক্ষ করার জন্য দেশবাসী উন্মুখ হয়ে আছে তা হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন ও লন্ডনের বিশ্বকাপ ক্রিকেট।
বিশদ

01st  January, 2019
একনজরে
জীবানন্দ বসু, কলকাতা: সাংগঠনিকভাবে বাংলায় দলকে চাঙা করতে কৃষক সংগঠনের উপরই ভরসা করছে সিপিএম। আগামী লোকসভা নির্বাচনে গ্রামে বুথ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কৃষকসভা এবং খেতমজুর সংগঠনের প্রতিনিধিরাই অগ্রাধিকার পেতে চলেছে। শুধু তাই নয়, আসন্ন ব্রিগেড সমাবেশ ও নির্বাচনী প্রচারে কৃষক ...

শারজা, ১৫ জানুয়ারি: এএফসি এশিয়ান কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও ভারতের পারফরম্যান্স বাকিদের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে। সোমবার এই মন্তব্য করেন বিদায়ী কোচ স্টিভন ...

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: বিজেপি, সিপিএম ও নির্দল প্রার্থী জোট করে নবদ্বীপের মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করলেও গত পাঁচ মাসে উপ-সমিত তৈরি না হওয়ায় এলাকার উন্নয়ন বন্ধ। দু’বার উপসমিতির জন্য সভা ডেকেও বানচাল হয়ে যায়। আজ বুধবার ফের প্রশাসনিক কর্তারা সভা ডেকে ...

বিএনএ, রায়গঞ্জ: পৃথক দু’টি ঘটনায় এক স্কুল ছাত্রী ও এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। অপর দিকে, মোটর বাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিস ও মৃতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে হেমতাবাদ থানার সমসপুর গ্রামে এক স্কুল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১: ফরাসিদের কাছ থেকে পণ্ডিচেরির দখল নিল ব্রিটিশরা
১৯৩৮: কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪৬: অভিনেতা কবির বেদির জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.২৮ টাকা ৭১.৯৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৯৬ টাকা ৯৩.২১ টাকা
ইউরো ৭৯.৯৪ টাকা ৮২.৯৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৭৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,১০৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৫৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৯,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৯,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ ১৪২৫, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, নবমী ৪৫/৫৫ রাত্রি ১২/৪৫। নক্ষত্র- অশ্বিনী ১৮/৫২ দিবা ১/৫৬, সূ উ ৬/২৩/৫, অ ৫/৮/৩৭, অমৃতযোগ দিবা ঘ ৮/৩২ গতে ১০/৪১ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৯ গতে ২/১৬ মধ্যে পুনঃ ২/৫৯ গতে ৪/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/০ মধ্যে পুনঃ ৮/৪০ গতে ১১/১৮ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ঘ ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৬ গতে ২/২৬ মধ্যে, কালরাত্রি ঘ ৬/৪৬ গতে ৮/২৬ মধ্যে।
 
৩০ পৌষ ১৪২৫, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, নবমী রাত্রি ৭/৪৭/৩১। অশ্বিনীনক্ষত্র ৯/৪৮/৩৭। সূ উ ৬/২৪/২৭, অ ৫/৬/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ঘ ৭/৬/১০ মধ্যে ও ঘ ৭/৫০/২৯ থেকে ঘ ১১/২৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৬/৪০ থেকে ঘ ৮/৩৯/৫১ মধ্যে ও ৯/৩৩/১ থেকে ১২/১২/৩৫ মধ্যে ও ১/৫৮/৫৬ থেকে ৩/৪৫/১৯ মধ্যে ও ৫/৩১/৪০ থেকে ৬/২৪/৩৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪/৪৪ থেকে ৯/৫/১ মধ্যে, কালবেলা ১/৫/৫২ থেকে ঘ ২/২৬/৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৪৬/২৬ থেকে ঘ ৮/২৬/৯ মধ্যে। 
 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে জটিলতা বৃদ্ধি। মিথুন: শরীর-স্বাস্থ্য ভালো যাবে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭৬১: ফরাসিদের কাছ থেকে পণ্ডিচেরির দখল নিল ব্রিটিশরা১৯৩৮: কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র ...বিশদ

07:03:20 PM

অনলাইনে অর্ধেক নারকেলের খোল বিকোচ্ছে ১৩৬৫ টাকায়
অর্ধেক নারকেলের খোলের দাম ১৩৬৫টাকা। তাও আবার ছাড় দিয়ে। আসল ...বিশদ

04:57:09 PM

দিনহাটায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বেঁধে দোকান লুট 
কোচবিহারের দিনহাটার ওকরাবাড়িতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বেঁধে রেখে দোকান লুট করল ...বিশদ

04:11:00 PM

ঘুম থেকে উঠতে দেরি, নাবালিকা পরিচারিকার মাথা ফাটালেন জয়েন্ট বিডিও-র স্ত্রী
দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার ‘অপরাধে’ বাড়ির নাবালিকা পরিচারিকাকে ...বিশদ

04:00:00 PM

বীরভূমের প্রান্তিক স্টেশনে কয়লা বোঝাই মালগাড়িতে আগুন 
কয়লা বোঝাই এক মালগাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক। বীরভূমের প্রান্তিক ...বিশদ

03:26:38 PM