Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দু’দিনের বন্‌ধ সফল করে কি সিপিএম ভাবমূর্তি ফেরাতে পারবে?
শুভা দত্ত

সিপিএমের প্রবীণ নেতা বিমান বসু একটি প্রস্তাব রেখেছিলেন। সরাসরি অবশ্য প্রস্তাবটা রাখেননি বিমানবাবু, রেখেছিলেন আকারে ইঙ্গিতে, ঘোরানো কথায়। কিন্তু, রাজ্যের রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণজন সকলেই তাঁর সেই ঘোরানো-প্যাঁচানো কথার মধ্যেকার আসল বক্তব্যটি ধরে ফেলেছিলেন। গত বুধবার বারাসতে বন্‌঩ধের প্রচারে পদযাত্রার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য বিমানবাবু যা বলেছিলেন, তাতে উপস্থিত সকলেরই মনে হয়েছিল তিনি এই ইঙ্গিতই দিচ্ছেন যে, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল যদি তাঁদের দু-দিনব্যাপী বন্‌঩ধে শামিল হয়, সমর্থন করে তাহলে বামেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি-বিরোধী ব্রিগেড সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা ভেবে দেখবে! মানে যাকে বলে, দিবে আর নিবে, মেলাবে মিলিবে। শুধু তাই নয়, বিমানবাবুর ওই প্রচ্ছন্ন আহ্বানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই যেন একই মর্মে বন্‌঩ধের উদ্যোক্তাদের শিবির থেকে ‘আমন্ত্রণে’র চিঠিও চলে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার দরবারে! এবং প্রত্যাশিতভাবেই শাসকদলের সুপ্রিমো বা শীর্ষ নেতৃত্ব ওই আমন্ত্রণে কোনও আগ্রহ দেখাননি। শুধু তাই নয়, বন্‌ধ ঩নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও তাঁর প্রশাসনের অনড় অবস্থানেও যে তাতে কিছুমাত্র নড়চড় হয়নি তা শুক্রবারই স্পষ্ট হয়ে গেছে। মমতা সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৮-৯ জানুয়ারির বন্‌ধ঩কে তাঁরা কোনওভাবেই সমর্থন করবেন না। পরন্তু ওই সময় সরকারি কর্মচারীরা ছুটি নিলে (অসুস্থতা ইত্যাদি কয়েকটি ক্ষেত্র বাদে) তা চাকরিতে ছেদ হিসেবেই গণ্য হবে। সুতরাং, বিমানবাবুর আহ্বান একরকম মাঠে মারা পড়ল।
কিন্তু, বিমানবাবুর ওই বক্তব্যে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছেন বাম নেতৃত্ব, বিশেষত সিপিএম। কারণ, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র থেকে শুরু করে ফ্রন্টের সকলেই বোঝেন—এমন প্রস্তাব যথেষ্ট বাস্তবসম্মত বা দূরদর্শী ছিল না। উল্টে এই ধরনের আমন্ত্রণে এ রাজ্যে বন্‌ধ সফল করা নিয়ে বামেদের সাংগঠনিক দুর্বলতার দিকটাই প্রকট হয়ে উঠেছে। কেননা প্রথমত, যে মমতাকে দিনরাত উঠতে-বসতে কারণে- অকারণে গালমন্দ করা হচ্ছে, মোদি-মমতা একই মুদ্রার দুই পিঠ বলে যাঁর উদ্দেশ্যে কদর্য কটাক্ষ করা হচ্ছে, পদে পদে যাঁর উন্নয়ন কাজগুলোকে লোকচক্ষে হেয় অর্থহীন প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে—সেই তিনি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন প্রস্তাবে কিছুতেই সায় দেবেন না। দেবেন না, তার কারণ এই নয় যে, যারা এই প্রস্তাব রাখছে সেই সিপিএম তাঁর চরম প্রতিপক্ষ, রাজনৈতিক শত্রু। সিপিএমের সঙ্গে এক সারিতে দাঁড়াতে তাঁর আপত্তি। মোটেই না। মমতার উদারতা ও রাজনৈতিক সৌজন্য গোটা দেশ জানে। এই সেদিনও রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী সিপিএম নেতা নিরুপম সেনের মৃত্যুর পর রাজ্যবাসী ফের তার পরিচয় পেয়েছেন।
কিন্তু, পাশাপাশি এটাও তো সত্যি যে, কিছু নীতিগত ক্ষেত্রে মমতা বজ্রের মতো কঠোর অনমনীয় অবিচল। বিশেষ করে যেখানে সাধারণ গরিব দিন আনি দিন খাই মানুষের ক্ষতি হয় সেখানে মমতা একেবারেই আপসহীন। আর তারই একটা হল এই বন্‌ধ। দৈনন্দিনের যাবতীয় কাজকর্ম পণ্ড করে বন্‌঩ধের বিরোধিতায় মমতা তাই চিরকালই ভয়ঙ্কর কট্টর এবং একবগ্গা। এমনকী রাজ্যের বিরোধী নেত্রী থাকাকালেও তিনি বন্‌ধ঩কে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার করেননি। তাঁর সাফ কথা, বন্‌ধ কর্মনাশা, গরিবের রুটি-রুজির শত্রু। তাই, কোনও অবস্থাতেই তিনি বা তাঁর সরকার বন্‌ধ সমর্থন করেনি, করে না, করবেও না। এ কথা শত-সহস্রবার বলেছেন তিনি। এই মনোভাবনা থেকেই ক্ষমতায় আসার পর তিনি এ রাজ্যে বন্‌঩ধের রাজনীতি মোটামুটি তুলেই দিয়েছেন—কথায় নয়, বাস্তবে। এ রাজ্যে ২০১১ সালের পর কোনও বন্‌ধ তাই সফল হতে পারেনি। বন্‌঩ধের দিনগুলোতে জনজীবন অন্য আর পাঁচটা দিনের চেয়েও যেন বেশি সচল ও স্বাভাবিক থেকেছে। বিমানবাবু কেন, রাজ্যের আপামর মানুষ এ কথা জানেন। তা সত্ত্বেও কী করে ওই প্রবীণ নেতা এমন ইঙ্গিত করেন—তা নিয়ে সিপিএমে তো বটেই, ফ্রন্টের অন্য মহলগুলোতেও বিস্ময়, অস্বস্তির সঙ্গে খানিকটা ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়েছে। অন্তত রাজনৈতিক মহলের খবর তেমনি।
আসলে মমতা যে টানা দু’দিনের বন্‌঩ধে সমর্থন জানাবেন না, এমনকী বন্‌ধ ব্যাপারে নিরাসক্ত থেকে বন্‌ধ সফল করার পথ করে দেবেন না কোনওমতেই তা সিপিএম কেন লাল গেরুয়া হাতছাপ তেরঙ্গা থেকে সাধারণ মানুষজন সকলেই জানেন। তা সত্ত্বেও কেন বিমানবাবুর মতো বর্ষীয়ান নেতা বন্‌঩ধে শামিল হওয়ার জন্য তৃণমূল সুপ্রিমোর উদ্দেশে ইঙ্গিতপূর্ণ আহ্বান জানালেন!? রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, বিমানবাবুর এই আহ্বান নিছক কথার কথা নয়, এর মধ্যে একটা সূক্ষ্ম রাজনৈতিক কৌশল আছে। রাজ্যে ৪৮ ঘণ্টার বন্‌ধ সফলের ‘নজিরবিহীন’ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সিপিএম চাইছে লোকসভা ভোটের মুখে পার্টির লড়াকু জনদরদি ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে। এবং সেই সূত্রে বঙ্গ রাজনীতিতে তাদের হারানো সোনার দিনের স্মৃতিটা ফের একবার জনমনে ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্‌ধ ঩নিয়ে পুরনো অবস্থানে অটল থাকলে তা সম্ভব নয়। ২০১১ সালের পর থেকে সিপিএম নেতৃত্ব অভিজ্ঞতায় বুঝেছেন, এ রাজ্যে বন্‌ধ সফল করার জন্য তাঁরা যতই হাঁকডাক, সভা, মিছিল করুন কার্যক্ষেত্রে তাতে বিশেষ কিছুই ফললাভ হয় না। মুখ্যমন্ত্রী মমতার বন্‌ধ ঩বিরোধী কঠোর মনোভাব—বামেদের রাজ্য অচল করার রাজনীতি ভেস্তে দেয়। জনতাও বন্‌঩ধের রাজনীতি বহুকাল বর্জন করেছে। দুই-এ মিলে বন্‌঩ধের দিনেও পুরোপুরি সচল থাকে এ রাজ্যের জীবনযাত্রা।
সিপিএম কি অন্য বিরোধী দলগুলোর হাতে আজ এই ‘প্রতিকূলতা’র সঙ্গে লড়াই করে বন্‌ধ সফল করার মতো সংগঠন বা জনসমর্থন কিছুই নেই। ফলে, বন্‌঩ধের দিনে অসহায় আত্মসমর্পণটা মোটের ওপর অবধারিতই হয়ে পড়েছে। এবার তার ব্যতিক্রম হবে—এমন সম্ভাবনাও নেই। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ফরমান জারি করে দিয়েছে, বন্‌঩ধে ছুটি গ্রাহ্য হবে না। এমন পরিস্থিতিতে উপায় ছিল একটাই—মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে বন্‌঩ধের পক্ষে টানা, তাঁর প্রত্যক্ষ না হোক পরোক্ষ সমর্থন আদায় করা। আর তা আদায় করতে মমতার মোদি-বিরোধী রাজনৈতিক অবস্থানকে ব্যবহার। কারণ, দেশের বিভিন্ন শ্রমিক কর্মচারী সংগঠনের ডাকা ৮-৯ জানুয়ারির এই দুদিন ব্যাপী ধর্মঘটের মূল লক্ষ্য মোদিজির নানান জনবিরোধী নীতির বিরোধিতা। এককথায় মোদি-বিরোধী ধর্মঘট। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিমানবাবুরা হয়তো ভেবেছিলেন, মোদি-বিরোধী অবস্থান ধরে রাখতে মমতা আহ্বানে সাড়া দিতেও পারেন। কেননা, সাড়া দিলে সিপিএম সমেত বাম দলগুলো ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেডে মোদি-বিরোধী সমাবেশে শামিল হবে। আর তাতে জাতীয় মোদি-বিরোধী শিবিরের প্রধান নেত্রী মমতার রাজনৈতিক শক্তি আরও জোরদার হবে। আবার বন্‌঩ধের বিরোধিতা করলে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে কটাক্ষে বাড়তি ইন্ধন যোগ করার সুযোগ পাবে সিপিএম এবং তার সুবাদে জনমহলে কিছু রাজনৈতিক ফায়দাও জুটে যাবে ভোটের মুখে। সেই সঙ্গে নিজেদের সাংগঠনিক ইত্যাদি দুর্বলতাগুলোও সাময়িকভাবে খানিকটা লোকচক্ষু থেকে আড়াল করতে পারবেন তাঁরা।
কিন্তু, মুশকিলটা হল তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মা-মাটি-মানুষের ক্ষতি হয়, অসুবিধে হয় বা রাজ্যের উন্নয়ন এক মুহূর্তের জন্য বিচলিত হয়—এমন চিন্তা তাঁর কোটি মাইলের মধ্যে প্রশ্রয় পায় না। ফলে, ফল যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। তিনি বন্‌ধ ঩নিয়ে আগের মতোই কড়া অবস্থানে। কিন্তু প্রশ্ন হল, বন্‌ধ সফল করতে শেষে এভাবে পরোক্ষে মমতার দ্বারস্থ কেন হল সিপিএম! দু’দিনের বন্‌ধ সফল করে কি সিপিএম ভাবমূর্তি ফেরাতে পারবে? লালপার্টির প্রতি রাজ্যবাসীর হারানো আস্থা ফিরে আসবে? মানুষ সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম নেতাই কেশপুর সব ভুলে যাবে? ভুলে যাবে ক্যাডার-রাজ, স্বজনপোষণ, চূড়ান্ত বামায়নের সেইসব দমবন্ধ দিনগুলো? মানুষের স্মৃতি এমনিতে দুর্বল কিন্তু সে দুর্বলতাও কি ওইসব ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা ভুলিয়ে দিতে পারে, পেরেছে? পথেঘাটে হাটবাজারে আজ কান পাতলে কি তাই মনে হয়? সত্যি বলতে কী, এই কঠোর বাস্তবটা সিপিএম কেন, রাজ্যের বিরোধীরা সকলেই জানেন বোঝেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতার নেতৃত্বে গত ২০১১ সালের পর থেকে যে বিপুল উন্নয়ন-যজ্ঞ চলছে তাতে মানুষ এখন এতটাই অভিভূত যে, বিকল্প ভাবার চিন্তাটুকুও আজ তাঁদের কাছে প্রশ্রয় পায় না। এমনকী মমতার কট্টর সমালোচকেরাও আজ এই বদলে যাওয়া বাংলা, বিশ্ববাংলার চোখধাঁধানো গরিমা গৌরবকে উপেক্ষা করতে পারছেন না। অস্বীকার করতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতার রাজনৈতিক প্রশাসনিক অনন্যতা। এমন পরিস্থিতিতে কেবল একটা বন্‌ধ সফল করলেই সিপিএমের ৩৪ বছরের কালিমা মুছে যাবে—হয়?
06th  January, 2019
নলজাতক কৌরব ও চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায়
শুভময় মৈত্র

শুরুতেই বলে নেওয়া ভালো যে প্রতি ইংরেজি বছরের শুরুতে ভারতে যে জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলন (ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস) হয় তা আজকের দিনে অত্যন্ত সাধারণ মানের। ‘সম্পূর্ণ নিম্নমানের’ কথাটা ব্যবহার করা ঠিক হবে না।  
বিশদ

15th  January, 2019
‘প্রায় সব ভারতবাসীই গরিব’
পি চিদম্বরম

 কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আপাতভাবে, ওটাই নরেন্দ্র মোদির সরকারের মত। এই মতের পক্ষে সমর্থনের স্পষ্টতা রোজ বাড়ছে। সেই স্পষ্টতার সর্বশেষ নিদর্শন পাওয়া গেল তড়িঘড়ি সংবিধান (১২৪তম সংশোধন) বিলের খসড়া তৈরি (৭ জানুয়ারি) এবং তা সংসদে পাশ (৯ জানুয়ারি) হয়ে যাওয়ার মধ্যে।
বিশদ

14th  January, 2019
মমতার নেতৃত্ব ছাড়া বিরোধীদের
লোকসভা জয়ের স্বপ্ন সফল হবে?
শুভা দত্ত

তিন রাজ্যের ভোটে ভালো ফল করার পর যে জাতীয় স্তরে কংগ্রেস ফের খানিকটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তাতে সন্দেহ নেই। লোকসভার ভিতরে বাইরে তাদের নেতা রাহুল গান্ধীর কথাবার্তা ও শরীরী ভাষাতেও সেটা পরিষ্কার। বিশেষ করে রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে তাঁর বাগ্‌যুদ্ধ এবং উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের তরজায় এখন কংগ্রেস সভাপতি রাহুলকেই যেন অপেক্ষাকৃত ধারালো, তরতাজা দেখাচ্ছে!
বিশদ

13th  January, 2019
তিন তালাক বিল অমানবিক ও বৈষম্যমূলক
শামিম আহমেদ

রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশন ৯ জানুয়ারি শেষ হল, তিন তালাক বিল লোকসভায় পাশ হলেও রাজ্যসভায় হল না। বিরোধীরা বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবিতে অনড় রইল।
বিশদ

12th  January, 2019
মহাকাশ-চর্চায় ভারতকে স্যালুট জানাচ্ছে গোটা দুনিয়া
মৃণালকান্তি দাস

 মহাকাশ জয় নিয়ে আমেরিকা ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের স্নায়ুযুদ্ধের মধ্যেই ইন্দিরা গান্ধী চেয়েছিলেন অন্তত একজন ভারতীয় মহাকাশে যাক। আর তার জন্য বন্ধু দেশ রাশিয়ার সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। ইতিহাস তৈরি হয়েছিল ১৯৮৪ সালের ২ এপ্রিল। বিশদ

11th  January, 2019
মমতার ব্রিগেডে মিলতে পারে
অনেক রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ-রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়ে যাবে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারিতে বামেদের সমাবেশ রয়েছে ব্রিগেডে। বিজেপি ৭ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের কথা ঘোষণা করলেও, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ আটকে পড়ায়, ২৯ জানুয়ারি নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে ব্রিগেডে সমাবেশ করার কথা নতুন করে ভাবছে।
বিশদ

10th  January, 2019
অন্নদাতা না ভোটব্যাঙ্ক!
মোশারফ হোসেন

সালটা ছিল ১৯০১। আঠাশ বছর বয়সি এক সুঠাম যুবক কলকাতা থেকে বরিশালের চাখার গ্রামের দিকে চলেছেন। সেখানেই তাঁদের বেশ কয়েক পুরুষের বসবাস। যুবকটি এর আগে কলকাতার রিপন কলেজ থেকে একইসঙ্গে তিনটি বিষয়ে অনার্সসহ গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন।
বিশদ

08th  January, 2019
রিপোর্ট কার্ডে ‘ফেল’
পি চিদম্বরম

আমি দিল্লি থেকে লিখছি, যেটা পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল মহানগরীর একটা। এখনও শীতকাল। গত সপ্তাহে যে বসন্তের উল্লেখ করেছিলাম তা এখনও কয়েক সপ্তাহ দূরে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচ রাজ্যের ভোটে সবক’টাতে পরাজয় সত্ত্বেও বিজেপি নেতৃত্ব এখনও সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপ্রবণ, উদ্ধত এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাচ্ছিল্যপূর্ণ।
বিশদ

07th  January, 2019
প্রধানমন্ত্রী: আকস্মিক বনাম আত্মঘাতী
শুভময় মৈত্র

 ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ বইটি এবং তার ওপর ভিত্তি করে লেখা সিনেমা নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক সম্পর্কে অনেকেই অবহিত। ২০১৪ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে নিয়ে একটি জীবনী প্রকাশ করেন সঞ্জয় বারু। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংবাদমাধ্যম ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঞ্জয়বাবুর যথেষ্ট পরিচিতি আছে।
বিশদ

05th  January, 2019
সংবিধান ৭০
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক কেমন সম্পর্ক ছিল তখন জওহরলাল নেহরু আর মহম্মদ আলি জিন্নার? ১৯৪৬ সালের কলকাতা দাঙ্গার পর, নোয়াখালি, তারপর বিহার, তারপর পাঞ্জাব। রক্তগঙ্গা বইছে। ঠিক সেই সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অ্যাটলি ভারতীয় নেতাদের ডেকেছিলেন একটি মিটিংয়ে। মাল্টা হয়ে লন্ডন।
বিশদ

04th  January, 2019
আলসেখানার বাসিন্দা থেকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশের ভোটে ৩০০ আসনে তিনিই ছিলেন মুখ! দুর্নীতির জালে আটকে পড়া, পাকিস্তান প্রেমে মত্ত আর ধর্মীয় উগ্রবাদে আস্থা রাখা বিরোধীদের সঙ্গে লড়াইটাও ছিল তাঁর একার। নির্বাচনের আগাগোড়া আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর দল আওয়ামি লিগ ফের জিতবে।
বিশদ

03rd  January, 2019
স্বাগত ২০১৯, নতুন বছরে একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই
হিমাংশু সিংহ

বিদায় ২০১৮। গত বারোমাসের হাজারো উজ্জ্বল এবং তারই মধ্যে কিছু কিছু ধুলো মলিন মন ভারাক্রান্ত করা স্মৃতিকে বিদায় দিয়ে দ্বিগুণ উদ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। আগামী ৩৬৫ দিনে সবচেয়ে বড় যে দুটি মেগা ইভেন্ট প্রত্যক্ষ করার জন্য দেশবাসী উন্মুখ হয়ে আছে তা হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন ও লন্ডনের বিশ্বকাপ ক্রিকেট।
বিশদ

01st  January, 2019
একনজরে
বিএনএ, রায়গঞ্জ: পৃথক দু’টি ঘটনায় এক স্কুল ছাত্রী ও এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। অপর দিকে, মোটর বাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিস ও মৃতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে হেমতাবাদ থানার সমসপুর গ্রামে এক স্কুল ...

জীবানন্দ বসু, কলকাতা: সাংগঠনিকভাবে বাংলায় দলকে চাঙা করতে কৃষক সংগঠনের উপরই ভরসা করছে সিপিএম। আগামী লোকসভা নির্বাচনে গ্রামে বুথ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কৃষকসভা এবং খেতমজুর সংগঠনের প্রতিনিধিরাই অগ্রাধিকার পেতে চলেছে। শুধু তাই নয়, আসন্ন ব্রিগেড সমাবেশ ও নির্বাচনী প্রচারে কৃষক ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল হাওড়া জেলায় গঙ্গাধরপুর বালিকা বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব। ৮ জানুয়ারি জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে পাঁচদিন ব্যাপী এই উৎসবের সূচনা করেন শিক্ষাবিদ সন্তোষকুমার দাস। ...

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: বিজেপি, সিপিএম ও নির্দল প্রার্থী জোট করে নবদ্বীপের মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করলেও গত পাঁচ মাসে উপ-সমিত তৈরি না হওয়ায় এলাকার উন্নয়ন বন্ধ। দু’বার উপসমিতির জন্য সভা ডেকেও বানচাল হয়ে যায়। আজ বুধবার ফের প্রশাসনিক কর্তারা সভা ডেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১: ফরাসিদের কাছ থেকে পণ্ডিচেরির দখল নিল ব্রিটিশরা
১৯৩৮: কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪৬: অভিনেতা কবির বেদির জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.২৮ টাকা ৭১.৯৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৯৬ টাকা ৯৩.২১ টাকা
ইউরো ৭৯.৯৪ টাকা ৮২.৯৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৭৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,১০৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৫৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৯,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৯,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ ১৪২৫, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, নবমী ৪৫/৫৫ রাত্রি ১২/৪৫। নক্ষত্র- অশ্বিনী ১৮/৫২ দিবা ১/৫৬, সূ উ ৬/২৩/৫, অ ৫/৮/৩৭, অমৃতযোগ দিবা ঘ ৮/৩২ গতে ১০/৪১ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৯ গতে ২/১৬ মধ্যে পুনঃ ২/৫৯ গতে ৪/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/০ মধ্যে পুনঃ ৮/৪০ গতে ১১/১৮ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ঘ ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৬ গতে ২/২৬ মধ্যে, কালরাত্রি ঘ ৬/৪৬ গতে ৮/২৬ মধ্যে।
 
৩০ পৌষ ১৪২৫, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, নবমী রাত্রি ৭/৪৭/৩১। অশ্বিনীনক্ষত্র ৯/৪৮/৩৭। সূ উ ৬/২৪/২৭, অ ৫/৬/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ঘ ৭/৬/১০ মধ্যে ও ঘ ৭/৫০/২৯ থেকে ঘ ১১/২৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৬/৪০ থেকে ঘ ৮/৩৯/৫১ মধ্যে ও ৯/৩৩/১ থেকে ১২/১২/৩৫ মধ্যে ও ১/৫৮/৫৬ থেকে ৩/৪৫/১৯ মধ্যে ও ৫/৩১/৪০ থেকে ৬/২৪/৩৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪/৪৪ থেকে ৯/৫/১ মধ্যে, কালবেলা ১/৫/৫২ থেকে ঘ ২/২৬/৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৪৬/২৬ থেকে ঘ ৮/২৬/৯ মধ্যে। 
 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে জটিলতা বৃদ্ধি। মিথুন: শরীর-স্বাস্থ্য ভালো যাবে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭৬১: ফরাসিদের কাছ থেকে পণ্ডিচেরির দখল নিল ব্রিটিশরা১৯৩৮: কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র ...বিশদ

07:03:20 PM

অনলাইনে অর্ধেক নারকেলের খোল বিকোচ্ছে ১৩৬৫ টাকায়
অর্ধেক নারকেলের খোলের দাম ১৩৬৫টাকা। তাও আবার ছাড় দিয়ে। আসল ...বিশদ

04:57:09 PM

দিনহাটায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বেঁধে দোকান লুট 
কোচবিহারের দিনহাটার ওকরাবাড়িতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বেঁধে রেখে দোকান লুট করল ...বিশদ

04:11:00 PM

ঘুম থেকে উঠতে দেরি, নাবালিকা পরিচারিকার মাথা ফাটালেন জয়েন্ট বিডিও-র স্ত্রী
দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার ‘অপরাধে’ বাড়ির নাবালিকা পরিচারিকাকে ...বিশদ

04:00:00 PM

বীরভূমের প্রান্তিক স্টেশনে কয়লা বোঝাই মালগাড়িতে আগুন 
কয়লা বোঝাই এক মালগাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক। বীরভূমের প্রান্তিক ...বিশদ

03:26:38 PM