লন্ডন, ৮ জানুয়ারি: উলভারহ্যাম্পটনের কাছে হেরে এফ এ কাপ থেকে বিদায় নিল ইপিএলের শীর্ষে থাকা লিভারপুল। স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনা শুরু হয়েছে কোচ জুরগেন ক্লপের। ব্রিটিশ ফুটবলবোদ্ধাদের একাংশের ধারণা, ঐতিহ্যমণ্ডিত এফ এ কাপকে গুরুত্ব দেননি লিভারপুলের জার্মান কোচ। তাই ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিরুদ্ধে নামানো প্রথম একাদশে দুম করে ন’টি পরিবর্তন এদিন করেন তিনি। কোচ জুরগেন ক্লপ অবশ্য এই ধরনের সমালোচনায় আদৌ চিন্তিত নন। তাঁর বক্তব্য, ‘প্রিমিয়ার লিগে আমরা শীর্ষে রয়েছি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও রাউন্ড অব সিক্সটিনে পৌঁছেছি আমরা। মরশুমের মাঝপথে কেউ চোট পেলে এই দু’টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় আমার পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে। উলভারহ্যাম্পটনের বিরুদ্ধে ডেজান লভরেন হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেল। এই ধাক্কা যেভাবেই হোক সামলাতে হবে। লভরেনের চোটই প্রমাণ করে, আমার পূর্বানুমান কতটা সঠিক। মহম্মদ সালাহ, রবার্তো ফারমিনো, সাদিও মানেদের এই ম্যাচে খেলালে চোট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। কোচ হিসেবে চোটের হাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব তো আমাকেই নিতে হবে। এছাড়া এফ এ কাপের মতো প্রতিযোগিতায় রিজার্ভ বেঞ্চকে পরখ করে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমার। প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন অথচ অনভিজ্ঞদের প্রিমিয়ার লিগ বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুম করে খেলিয়ে চাপে ফেলা উচিত নয়। জানি, সাদিও মানে কিংবা মো সালাহর মতো পারফরম্যান্স আশা করা উচিত নয় ওরিজি বা স্টারিজদের কাছে। কিন্তু আমায় তো স্কোয়াডের প্রত্যেককে তৈরি রাখতে হবে।’
উলভারহ্যাম্পটনের কাছে ২-১ গোলে হারের পর লিভারপুলের নির্ভরযোগ্য ফুটবলার জেরদান শাকিরি বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করেছি। ৩৮ মিনিটে গিমেনেজের গোলে পিছিয়ে পড়েও লিভারপুল সমতা ফেরায়। ৫১ মিনিটে ওরিজি চমৎকার শটে গোল করে। কিন্তু তারপর রুবেন নেভেসের লক্ষ্যভেদ আমাদের জয়ের আশায় জল ঢেলে দেয়।’ উল্লেখ্য, মো সালাহ এবং রবার্তো ফারমিনোকে দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামিয়েও কোনও লাভ হয়নি ক্লপ-ব্রিগেডের।