বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিধাননগর সিটি পুলিসের পক্ষ থেকে ফেসবুকে মোহনবাগান সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। তাতে কমিশনারেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন স্টেডিয়াম একটি ক্রীড়াক্ষেত্র। সেখানে কোনও দর্শক খেলা দেখতে এলে, তারা যাতে কোনও বাধাবিহীনভাবেই খেলা উপভোগ করতে পারেন— তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পুলিসের। এই স্টেডিয়ামটি কোনও ক্লাবের সম্পত্তি নয়। সরকার এটি রক্ষণাবেক্ষণ করে। তাই সেরকম কোনও জায়গায় এরকম প্রতিবাদ কর্মসূচি মেনে নেওয়া যায় না। তা সমর্থকই হোক বা অন্য কেউ। কাউকেই এ’ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি স্টেডিয়ামের মধ্যে করতে দেওয়া হবে না। যাতে খেলার ছন্দ কোনওভাবেই নষ্ট না হয়। তবে স্টেডিয়ামের বাইরে কোনও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হলে, সেবিষয়ে পুলিসের কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। কারণ স্টেডিয়ামের ভিতরে এ’ধরনের প্রতিবাদ হলে, তা অন্যদের ক্ষেত্রে অসুবিধাজনক হতে পারে। ফেসবুকে কমিশনারেটের এই নির্দেশ ঘিরে আরও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মোহন বাগান সমর্থকরা কমিশনারেটের ফেসবুক পেজেও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। যদিও কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তা বলেন, এবিষয়ে তাঁদের এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।
কমিশনারেটের কর্তা আরও বলেন, মাঠের ভিতরে কোনও প্রকার ব্যানার-ফেস্টুন বা হোর্ডিং নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। এটা শুধুমাত্র মোহনবাগান দলের ক্ষেত্রে নয়। সব দলের সমর্থকদের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য। ধরা পড়লে কঠোর শাস্তি হবে। কারণ সমর্থকরা যতই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের কথা বলুক, তা অন্যের পছন্দ নাও হতে পারে। এমনকী, এনিয়ে প্রতিপক্ষ দলেরও প্রতিবাদ থাকতে পারে। তাই সব ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বাইরে কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচির ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই বলেই কমিশনারেটের কর্তা জানান। পুলিসের কড়া বার্তা সত্ত্বেও বহু সমর্থক লুকিয়ে-চুরিয়ে পোস্টার-ব্যানার নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকে যাচ্ছে। তাই পরবর্তী ম্যাচগুলিতে সমর্থকদের মাঠে প্রবেশের সময় আরও কড়া চেকিং করা হবে বলেও কমিশনারেটের ওই কর্তা জানান।