বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
১০৫ ম্যাচে ৬৭টি গোল তাঁর নামের পাশে লেখা রয়েছে। বাইচুং ভুটিয়া ভারতের হয়ে সর্বাধিক ১০৭টি ম্যাচ খেলেছেন। পূর্বসূরিকে ছোঁয়ার অপেক্ষায় সুনীল। দেশের জার্সি পরে বর্তমানে সক্রিয় ফুটবলারদের মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক গোলদাতা সুনীল ছেত্রী। ব্রাজিলের নেইমার, আর্জেন্টিনার লায়োনেল মেসির থেকে তিনি এগিয়ে রয়েছেন। সামনে রয়েছে একমাত্র ৮৫ গোল করা পর্তুগালের মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এই প্রসঙ্গে ২০০৫ সালে ভারতীয় দলে অভিষেক হওয়া সুনীল বলেন, ‘রেকর্ড গড়লে ভালো লাগে। কিন্তু আমি কোনওদিন রেকর্ডের লক্ষ্যে খেলিনি, আর খেলব না। মেসির সঙ্গে আমার নাম উচ্চারিত হচ্ছে শুনে আমি গর্বিত। তবে আমি আরও গোল করে দেশকে জেতাতে চাই। সত্যি বলছি, থাইল্যান্ডকে ৪-১ গোলে হারাতে পারব, একেবারেই ভাবিনি। কারণ থাইল্যান্ড টেকনিক্যালি খুব ভালো দল। তবে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, আমরা ভালো খেলব। এশিয়ান কাপে আমাদের দারুণ শুরু হয়েছে। প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে আমাদের এই জয় ধরে রাখতে হবে। এই জয়ের নেপথ্যে রয়েছে দলীয় ঐক্য, বোঝাপড়া। দলের এই স্পিরিটই আমাদের বড় জয় এনে দিয়েছে।’
বিরতিতে কোচ স্টিভন কনস্টানটাইন কিছু বলেছিলেন? কারণ দ্বিতীয়ার্ধে ভারত দুরন্ত ফুটবল খেলেছে। এই প্রসঙ্গে সুনীল বলেন, ‘আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম, থাইল্যান্ডকে কিছুতেই নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে দেব না। প্রথমার্ধে ওরা বেশি বলের দখল রেখেছিল। ওটাই ওদের দ্বিতীয়ার্ধে করতে দিইনি। হাইপ্রেসিং ফুটবল খেলতে শুরু করি। বিশেষ করে রক্ষণ থেকে উঠে সন্দেশ ও আনাস দারুণ চাপ সৃষ্টি করে প্রতিপক্ষ রক্ষণে।’ সুনীল নিজের গোলের থেকে সতীর্থদের গোলে বেশি আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘উদান্তার দুরন্ত ক্রস থেকে আমার গোলটা কোনওদিন ভুলতে পারব না। তবে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি অনিরুদ্ধ থাপা অভিষেক ম্যাচে গোল করায়। জেজে মাঠে নেমেই গোল করেছে বলে আমি দারুণ খুশি। জেজে আমার দলের অন্যতম সেরা ফুটবলার। ও গোল পেলে ভালো লাগে।’