আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল বলেন, বিজেপি থাকলে দেশটা বিক্রি করে দেবে। সেটা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ভালোমতোই বুঝতে পেরেছেন। সেই জন্য বিজেপিকে দিল্লি থেকে তাড়ানোর ডাক দিয়েছেন। তাঁর বার্তা শুনেই আমাদের স্থানীয় নেতৃত্ব নিজ নিজ এলাকায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে ঝাঁজ বাড়াচ্ছে।
বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ বলেন, পাত্রসায়রের মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক বেশি হয়নি। সেই রাগ তিনি মঞ্চে উগরেছেন। ওই এলাকার মানুষ পরপর দু’বার ভোটে বিজেপিকে জিতিয়েছে। এবারও নিশ্চিত হার বুঝতে পেরে তিনি অল্প সময় বক্তৃতা দিয়ে চলে গিয়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্ব যতই বিজেপির কুৎসা করুক না কেন এলাকার মানুষ মোদিজির গ্যারান্টির উপর ভরসা রাখবে।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে রাজ্যের নানা জনমুখী প্রকল্পের প্রচারের উপর জোর দেওয়া হয়। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ পাচ্ছে কি না, সেই খোঁজ খবর নেওয়ার কর্মসূচি চলে। বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে ভোট ২৫মে। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে। তাই এবার বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার সময় হয়ে এসেছে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে। সেই কারণে মঙ্গলবার পাত্রসায়রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাষণে আগাগোড়া বিজেপির সমালোচনা করেন। তিনি মোদি ও বিজেপির বিরুদ্ধে কার্যত রণংদেহি মূর্তি ধারণ করেন। তা শুনে উজ্জীবিত হন দলীয় নেতা-কর্মীরা।
তৃণমূল কংগ্রেসের জয়পুর ব্লক সভাপতি কৌশিক বটব্যাল বলেন, এতদিন আমরা রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি সম্পর্কে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে বলেছি। এখনও পাড়ায় পাড়ায় প্রচার চলছে। তবে পাত্রসায়রের সভায় দলনেত্রীকে যেভাবে মোদি ও তার দল বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে দেখেছি, তাতে আমরাও বুঝে গিয়েছি, দেশ বাঁচাতে গেলে বিজেপিকে তাড়াতেই হবে। তাই এবার থেকে এলাকায় এলাকায় বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ানো শুরু করেছি। বুথস্তরের নেতারা বিজেপি যে দেশ তথা আমাদের বাংলার প্রতি কতটা বিপজ্জনক, তা বোঝাচ্ছেন।