আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
জেলা স্কুল শিক্ষাদপ্তর সূত্রে খবর, গতবারে উচ্চ মাধ্যমিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সামগ্রিক পাশের হার ছিল ৯২.৭৭ শতাংশ। জেলা ষষ্ঠ স্থানে ছিল। এবছর পাশের হারে এই জেলা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। জেলায় পাশের হার ৯২.৭৮ শতাংশ। অন্যদিকে, এবছর রাজ্যের মোট ৫৮ জন মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। কিন্তু সেখানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কোনও পড়ুয়া নেই। কেন এই অবস্থা? জেলা তৃণমূল শিক্ষা সেলের সভাপতি তথা এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের মনিটরিং কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রামজীবন মান্ডি বলেন, এই ফলাফলে আমরা কিছুটা হতাশ। এনিয়ে অবশ্যই কাটাছেঁড়া হবে। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা যা দেখতে পাচ্ছি, মাধ্যমিকের পর থেকেই জেলার ছেলেমেয়েদের জয়েন্ট এন্ট্রান্সের দিকেই ঝোঁক বেশি থাকে। তাই উচ্চ মাধ্যমিকেই প্রতিযোগিতা অনেক কমে যায়। তবে জেলার সামগ্রিক ফল খুবই ভালো। গত বছর পশ্চিম মেদিনীপুরের একজনই মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। তাও নবম স্থানে। এবছর অবশ্য জেলার একজনেরও নাম নেই। এপ্রসঙ্গে শালবনীর মৌপাল দেশপ্রাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রসূনকুমার পড়িয়ার মতে, এটা চিন্তার বিষয়। আমার মনে হয় অভিভাবকেরা নিজেদের সন্তানদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করতেই বেশি দৌড়চ্ছেন। মেদিনীপুরে এটা নিয়ে একটা হুজুগ তৈরি হয়েছে। তাই উচ্চ মাধ্যমিকের ফল এরকম হচ্ছে। এনিয়ে আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে মেধা তালিকায় দাপট দেখিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর। সেবছর জেলা থেকে ৩৫ জন স্থান পেয়েছিলেন মেধা তালিকায়। রাতারাতি শিরোনামে চলে এসেছিল পিংলার জলচক নটেশ্বরী নেতাজি বিদ্যায়তন। ওই স্কুলের ২২ জনের স্থান হয়েছিল মেধা তালিকায়, যা নিয়ে ব্যাপক বিস্ময় তৈরি হয়েছিল শিক্ষা মহলে।
অন্যদিকে, ২০২২ সালেও সবং সারদাময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাতজন পড়ুয়া মেধা তালিকায় ছিলেন। যদিও এবছর ধারে কাছে কেউ নেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অদিতিনন্দন রাজ বলেন, স্কুলের সামগ্রিক ফল ভালো হয়েছে। ১৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৫০ জন পাস করেছে। প্রথম স্থানধিকারী শুভম মাইতি ৪৬৯ পেয়েছে।