আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
২০১৪ সালে একদা নকশাল নেতা তথা সিপিআই প্রার্থী সন্তোষ রানাকে আড়াই লক্ষের বেশি ভোটে পরাজিত করে প্রথমবার তৃণমূলের সাংসদ হয়েছিলেন দেব ওরফে দীপক অধিকারী। সাড়ে ৪২ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় হয়েছিলেন রানা, তিনি ২৬.৩৮ শতাংশ ভোট পান। কংগ্রেসের মানসরঞ্জন ভুঁইয়া পেয়েছিলেন ৭.৬৫ শতাংশ ভোট। কংগ্রেসের থেকেও কম ভোট পেয়েছিল বিজেপি প্রার্থী মহম্মদ আলম, মাত্র ৫.৮৯ শতাংশ।
২০১৯ সালে বিজেপির উত্থান শুরু। ওই বছর দেব পান ৪৮.২০ শতাংশ ভোট। বিজেপি ৪০.৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছয়। অভিযোগ, বাম সমর্থকদের ভোট পেয়েই বিজেপির শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছিল। বামেদের ভোট অনেক কমে ৬.৫১ শতাংশে পৌঁছেছিল সেবার। অন্যদিকে কংগ্রেসের ভোটও ২.২০ শতাংশে নেমে যায়।
যেহেতু জোট হয়নি, তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে কংগ্রেস এই কেন্দ্রে সিপিএমের হয়ে প্রচারে নামবে না। যদিও কংগ্রেসের ঘাটাল ব্লক সভাপতি শশধর মণ্ডল বলেন, আমরা এবার ভোটে কী করব তা এখনও ঠিক হয়নি। দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব যা নির্দেশ দেবেন সেই অনুযায়ী আমাদের কর্মীরা কাজ করবেন। কংগ্রেস যদি প্রচারে না নামে তাহলে কংগ্রেসের ভোটটা কারা পেতে পারে তা নিয়েই জল্পনা চলছে। একাংশ মনে করছেন, কংগ্রেসের সমস্ত ভোট সিপিএমের সঙ্গে যোগ হবে। বর্তমানে কংগ্রেসের কাছে তৃণমূল এবং বিজেপি সমান শত্রু। তবে ওই তত্ত্ব মানতে রাজি নয় রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁরা বলেন, কিছু ভোট তৃণমূলের দিকে যাবে। কিছু যেতে পারে বিজেপির দিকে। কারণ পোড় খাওয়া কংগ্রেসীরা বাম প্রার্থীকে ভোট দেবে না। তবে কংগ্রেসের কিছু ভোট যে তৃণমূল পাবে দাসপুর-১ ব্লকের কংগ্রেসের এক নেতার কথাতেই পরিষ্কার। তিনি বলেন, বিজেপি দেশটাকে বেচে দিচ্ছে। জাতীয় স্তরে আমাদের প্রধান শত্রু বিজেপি। আর সিপিএমের অত্যাচারের কথা আমরা এখনও ভুলতে পারিনি। তাই ভোটটা নষ্ট করা ঠিক হবে না। যেহেতু এখানে মা (কংগ্রেস) উপস্থিত নেই, তাই ভোটটা মাসিকে (তৃণমূলকে) দেওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। সিপিএম নেতা সুনীল অধিকারী অবশ্য কংগ্রেসের ভোট পাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট আশাবাদী। তিনি বলেন, যেহেতু জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের আঁতাত হয়েছে, তাই নৈতিক কারণেই কংগ্রেসের কর্মীরা বাম প্রার্থীর সমর্থনেই মাঠে নামবেন। কংগ্রেসের ভোট বামেরাই পাবেন।
তৃণমূলের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি পঞ্চানন মণ্ডল বলেন, কংগ্রেসের কর্মী ও ভোটাররা কাকে ভোট দেবেন সেটা তাঁদের ব্যাপার। আমরা পেলে ভালো। তৃণমূলকে দিলে আমাদের ভোটের ব্যবধান কিছুটা বাড়বে। এনিয়ে বিজেপি নেতারা অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি।