আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ২৭টি মনোনয়নপত্র গৃহীত হয়েছে। ১৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নের বৈধতা রয়েছে। একজন একাধিক মনোনয়ন জমা দেওয়াতেই আবেদনের সংখ্যাটি ২৭ হয়েছে। পুরুলিয়া লোকসভা আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিজেপির জ্যোতির্ময় সিং মাহাত, তৃণমূল কংগ্রেসের শান্তিরাম মাহাত, ফরওয়ার্ড ব্লকের ধীরেন্দ্রনাথ মাহাত, কংগ্রেসের নেপালচন্দ্র মাহাত এবং বিএসপি প্রার্থী সন্তোষ রাজওয়ার। এছাড়াও প্রার্থী রয়েছেন ডেমোক্রেটিক সোস্যালিজম পার্টির অসিত বরণ মাহাত, এসইউসি-র সুস্মিতা মাহাত। নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন অজিত প্রসাদ মাহাত, অজিত কুমার মাহাত, গৌরীশ রায়, পীযূষকান্তি রজক, বিশ্বজিৎ মাহাত এবং ভাগবত দাস শাস্ত্রী। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর বোঝা যাবে এই ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে কারা পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রে লড়াই করছেন। নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন অজিত প্রসাদ মাহাত এবং তাঁর ছেলে বিশ্বজিৎ মাহাত। বাবা-ছেলের মনোনয়ন ঘিরে জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে বিশ্বজিৎ শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন না বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও একই নামের দু’জন প্রার্থীও রয়েছে ভোটের লড়াইয়ে।
বিশ্বজিৎ মাহাত বলেন, বাবার সঙ্গে আমিও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি একথা ঠিক। তবে আমি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেব। বাবার মনোনয়নপত্র বাতিলের আশঙ্কা থেকেই আমি আবেদন করেছিলাম। স্ক্রুটিনি হয়ে গিয়েছে। বাবার মনোনয়নপত্র বৈধ থাকায় নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেব। বিশ্বজিৎবাবু আরও বলেন, পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রে এবার নির্দল প্রার্থী হিসেবে বাবা একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাই কুড়মি ভোটারদের বিভ্রান্ত করতেই ওই নামে আরও একজনকে নির্দল প্রার্থী করেছে একটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু, সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হবে না। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, আমাদের প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে কোনও সমস্যা নেই। একই নামে একাধিক প্রার্থী হওয়াটা বড় কোনও বিষয় নয়। এমনটা হয়েই থাকে। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কোনও সমস্যা হয়নি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পেরলেই বোঝা যাবে কতজন প্রার্থী মূল লড়াইয়ে থাকলেন।