আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
গত লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে রামপুরহাট বিধানসভায় বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে তৃণমূল। বিধানসভাতেও বেশকিছু বুথে হার হয় তাদের। যদিও ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে রামপুরহাট-১ ব্লকে তিনটি জেলা পরিষদের আসন মিলিয়ে তাদের জয়ের ব্যবধান ছিল ১৮হাজার। অন্যদিকে মহম্মদবাজারে প্রায় দশ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল শাসকসল। লোকসভা ভোটে সেই ব্যবধান যাতে না কমে সেব্যাপারে বিজয়া সম্মিলনীর মধ্যে দিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেজন্য প্রতিটি অঞ্চল পুনর্গঠন করা হয়েছে। কিছুদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তারাপীঠে এসে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, লোকসভা ভোটে যে এলাকায় দল পিছিয়ে পড়বে সেখানকার নেতৃত্বকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
সর্বত্রই ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। বাদ নেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মস্থান কুসুম্বা। দিনদুয়েক আগে সাঁইথিয়ার জনসভা থেকে কুসুম্বা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন মমতা। এবার সেই গ্রামে পিছিয়ে থাকার তকমা ঘোচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল। গত লোকসভা নির্বাচনে কুসুম্বা অঞ্চলে বিজেপির থেকে প্রায় তিনহাজার ভোটে পিছিয়ে পড়ে তৃণমূল। গত বিধানসভা ভোটে সেই পিছিয়ে থাকার ব্যবধান কমে দাঁড়ায় ২১০০তে। পঞ্চায়েত ভোটে এই অঞ্চল দখল করলেও ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। পঞ্চায়েত সমিতির আসনে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাই তথা দলের রামপুরহাট-১ ব্লক সভাপতি নীহার মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী পম্পা মুখোপাধ্যায় বিজেপির সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হন। কুসুম্বা গ্রামের তিনটি বুথের মধ্যে দু’টিতে জয় পায় বিজেপি। যদিও কুসম্বা, বনহাট ও নারায়ণপুর গ্রাম নিয়ে গঠিত জেলা পরিষদের একটি আসনে এগিয়ে থাকে তৃণমূল।
এবার কুসুম্বা গ্রামে লিড পেতে কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এই অঞ্চলে পঞ্চায়েত সমিতির তিনটি আসন রয়েছে। তিনটি আসনে পৃথক নেতৃত্বকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বুথভিত্তিক কমিটিও গঠন করা হয়েছে। জয়ের টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি ভাগ করে টিম তৈরি করে মনিটারিং করছেন স্থানীয় নেতৃত্ব ও কর্মীরা। সুদেষ্ণার স্বামী তথা বিজেপির জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য মুকুল মুখোপাধ্যায় বলেন, দল থেকে আমাকে সেভাবে আহ্বান জানানো হয় না। স্ত্রীর পঞ্চায়েত সমিতির আসনে লিড ধরে রাখার টার্গেট নিয়ে পড়ে রয়েছি। এলাকার তৃণমূল নেতা তথা কুসুম্বা পঞ্চায়েতের প্রধান তোতা শেখ বলেন, কুসুম্বার যেখানে ক্ষোভ ছিল সেখানে উন্নয়নের পাশাপাশি নিয়মিত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। ঘনঘন মিটিং করছি। তাতে ভালোই জমায়েত হচ্ছে। আশা করি লিড না থাকলেও হার মেককাপ করতে পারব। সেটাই আমাদের জয় হবে।