উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্দি ব্লকের হিজল এলাকা প্রধানত কৃষিনির্ভর এলাকা। এই এলাকায় ব্যাপক ধান উৎপাদনের জন্য জেলার ধানঘর হিসেবে বলে বাসিন্দারা চেনেন। প্রতিবছর প্রায় ১১হাজার হেক্টর জমিতে তিনবার করে ধান চাষ হয় ওই এলাকায়। এছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময় শাকসব্জি থেকে বিভিন্ন ধরনের অর্থকরী ফসল উৎপাদন হয়। ওই এলাকার হিজল কৃষি সমবায় সমিতিতে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার সদস্য রয়েছেন। কিন্তু ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব একটা ভালো নয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ওই এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে কুয়ে, ময়ূরাক্ষী, দ্বারকা, বাবলা নদীগুলি। এছাড়াও কয়েকটি বড় আকারের ক্যানেলও রয়েছে।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বহুবছর ধরে ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির জন্য অন্তত একটি ভালো রাস্তার দাবি করে আসছেন। হিজল কৃষি সমবায় সমিতির সম্পাদক আল হামদো বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এলাকার চাষিরা। চাষিরা ব্যাপক পরিমাণ ফসল উৎপাদন করতে পারলেও উৎপাদিত ফসল বাজারে আনতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন।
এদিকে ২০০৩-০৪আর্থিক বর্ষে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় এলাকার পুরন্দরপুর থেকে হিজল পঞ্চায়েত ভবন পর্যন্ত জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রাস্তা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেটি হারিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। স্থানীয় হিজল গ্রামের বাসিন্দা তহিদুল শেখ বলেন, যোগাযোগের অভাবে বাসিন্দারা চরম সমস্যায় রয়েছেন। তাই বহুবছর ধরে আমরা এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি চেয়ে আন্দোলন করে আসছি।
এদিকে কয়েকমাস আগে কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে বহরমপুর-সাঁইথিয়া রাজ্য সড়কের পুরন্দরপুর থেকে হিজল পঞ্চায়েত পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার প্রস্তাবিত রাস্তার আবেদন করা হয়। পরে রাজ্য সরকার প্রায় ৯কোটি ৪৬লক্ষ টাকা মঞ্জুর করে। কান্দি মহকুমা পূর্ত দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার রঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তা চওড়া করার পাশাপাশি রাস্তার পাশে ড্রেন তৈরি হরে।
পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে চার মিটার চওড়া ওই রাস্তার উপর ম্যাস্টিকের প্রলেপ দেওয়া হবে। বিভিন্ন গ্রামে রাস্তার পাশ দিয়ে কংক্রিটের নিকাশি নালা তৈরি করা হবে। এছাড়াও কয়েকটি কালভার্টও তৈরি করা হবে। এব্যাপারে কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, বহু বছর ধরে এই রাস্তা তৈরির দাবি জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। এটি তৈরি হলে দু’টি পঞ্চায়েতের প্রায় ২৬টি গ্রামের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। তবে হিজল পঞ্চায়েত থেকে মাঝিপাড়া পর্যন্ত আরও সাড়ে তিন কিলোমিটার প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা রয়েছে। সেটি মেরামত হলে গোটা এলাকার আর্থসামাজিক ব্যবস্থার আমূল বদল হবে।
কান্দি পুরসভার চেয়্যারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, ওই এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ নির্বাচনে আমাদের সমর্থন না করলেও মানুষের উন্নয়নে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা চাই, মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় উন্নয়ন হোক। তাই ওই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আমরা বহুবার দরবার করেছি। তার ফল এতদিনে পাওয়া গিয়েছে।