উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সিসিইউ চালু হলে চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি ঘটবে, তা বলাই বাহুল্য। ঝাড়গ্রাম বা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে রেফার সংখ্যাও যে অনেকটা কমবে, তাও মানছেন চিকিৎসকরা। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বিনা পয়সায় চিকিৎসার সুযোগ বাড়বে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চারতলায় হবে ১০ বেডের সিসিইউ বিভাগ। বিভাগটি চালুর জন্য ইতিমধ্যেই ছ’জন এমবিবিএস চিকিৎসক ট্রেনিং নিয়েছেন। এছাড়াও গত বছর ওই হাসপাতালের আটজন নার্সকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। সিসিইউ চালু হলে সঙ্কটাপন্ন রোগীরা চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। হৃৎরোগ, সাপে কামড়ানো, ম্যালেরিয়া সহ যে কোনও রোগের ক্ষেত্রে সর্বক্ষণ চিকিৎসা দেওয়া যাবে। এছাড়াও যে কোনও জটিল অপারেশনের পরেও রোগীকে সিসিইউতে রাখা যাবে। সেপটিসেমিয়া রোগীরাও সিসিইউর পরিষেবা পাবেন। সেখানে মুমূর্ষু রোগীকে সর্বক্ষণ মনিটারিং ও ভেন্টিলেটরের সাপোর্ট দেওয়া হবে। সিসিইউ চালু হওয়ার ফলে যে কোনও ধরনের জটিল অপারেশনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিতে পারবে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে এই হাসপাতালে মহিলাদের সিজার চালু হয়েছে। সিসিইউ চালু হলে গর্ভবতী মহিলাদের ঝুঁকি নিয়ে অপারেশন করা সম্ভব হবে। এর ফলে গোপীবল্লভপুর থেকে ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রান্ত করে অনেক রোগীকেই ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কিংবা প্রায় ৯০ কিমি পথ অতিক্রম করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আর যেতে হবে না।
ঝাড়গ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মিধ্যা বলেন, হাসপাতালের পরিকাঠামো সব ঠিক রয়েছে। শীঘ্রই গোপীবল্লভপুরে সিসিইউ চালু হবে। গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আরও একজন অ্যানাস্থেটিস্ট নিয়োগ করা হবে। তিনি বলেন, গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকে শাশড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১০টি বেড চালু হবে। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা পাওয়া যাবে। মুখ্যমন্ত্রী এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন।