উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
মেলার আয়োজক কোচবিহার পুরসভা। পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের ভূষণ সিং বলেন, মনে রাখতে হবে তিনি একজন মন্ত্রী। কোনও বিশেষ কাজে তিনি কোথাও গিয়ে থাকতেই পারেন। সেই কারণেই কোথাও আটকে গিয়ে রাসমেলার অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত নাই থাকতে পারেন। রাসমেলার অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে এমপি’কে আমন্ত্রণ না জানানো প্রসঙ্গে তাঁর জবাব, দলের সিদ্ধান্ত মেনেই এটা করা হয়েছে।
এবার কোচবিহার রাসমেলা ঘিরে প্রথম থেকেই নানান বিতর্ক দানা বাঁধে। প্রথমে রাসমেলার নির্ধারিত দিন পিছিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যায় মিটিংয়ে আসা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাসমেলা কমিটি মেলায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। সেসময়ে মুখ্যমন্ত্রী আয়োজকদের জানিয়েছিলেন, মেলা চলাকালীন যেকোনও একদিন তিনি কোচবিহারে গিয়ে মেলায় অংশ নেবেন। তাঁর থেকে মেলার আসার সম্মতি পেতেই আয়োজকরা ঘোষণা করে দেয় ১১ নভেম্বর রাস উৎসবের সূচনা হলেও ১৩ নভেম্বর রাসমেলার সূচনা মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে হবে। এতদিন পর্যন্ত রাস উৎসবের দিনই রাসমেলার সূচনা হয়ে আসছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের জন্য মেলা পিছিয়ে শুরু করার বিষয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতেই ফাঁপরে পড়ে যায় আয়োজকরা। তাঁরা ফের তড়িঘড়ি বৈঠক করে সংবাদিকদের ডেকে বিতর্কের অবসান ঘটান। জানিয়ে দেন, নির্ধারিত ১১ নভেম্বর উৎসব শুরুর দিন মেলার উদ্বোধন হবে। এই বিতর্ক কাটতে না কাটতেই রাসমেলার মঞ্চে বরাবর উপস্থিত থাকা রবীন্দ্রনাথবাবুর অনুপস্থিতি ঘিরে প্রশ্ন উঠে। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব দিনভর শিলিগুড়িতে বিভিন্ন কর্মসূচি সেরে নির্দিষ্ট সময়ে রাসমেলায় উপস্থিত হলেও কেন জেলার মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এলেন না। পরপর এমন বিতর্ক ঘিরে রীতিমতো অস্বস্তিতে মেলার আয়োজকরা।
কারণ দীর্ঘদিন যাবৎই কোচবিহারের রাসমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সূচনা করতে দেখা গিয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। কিন্তু এবারের রাসমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি না থাকাটা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে সামনে নিয়ে আসলো বলেই মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক মহল।
এদিন রাসমেলার অনুষ্ঠানে যখন উদ্বোধন পর্ব চলছে সেই সময়ে শিলিগুড়ি থেকে কোচবিহারে ফিরে আসেন রবীন্দ্রনাথবাবু। তিনি বলেন, শিলিগুড়ি থেকে ফিরে বাড়ি হয়ে আমি মদনমোহন মন্দিরে রাস উৎসবে যোগ দিয়েছি। রাত ৯টা নাগাদ জেলাশাসক পবন কাডিয়ান রাসচক্রের সামনে এসে পৌঁছন। সেখানেও রবীন্দ্রনাথকে আগে থেকেই উপস্থিত থাকতে দেখা দিয়েছে।