ঢাকা, ১১ নভেম্বর (পিটিআই): ‘দুর্বল’ বুলবুলের দাপটে বাংলাদেশের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ জন। আহত হয়েছেন ২০ জনেরও বেশি। রবিবার ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। সোমবার খুলনা, বরগুনা এবং গোপালগঞ্জে আরও ৫ জনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছে বাংলাদেশ সরকার। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ এলাকায় আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। পরদিন ভোররাতে সুন্দরবন উপকূল ঘুরে প্রতিবেশী দেশে প্রবেশের সময় অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে সেটি। পরে শক্তি হারিয়ে তা নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে অন্তত ৫ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিপর্যয় মোকাবিলা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৫ হাজার ৭৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২১ লক্ষের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দুর্যোগের কারণে নৌকা ও ফেরি চলাচলে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। পাশাপাশি, উপকূলবর্তী এলাকার বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরগুলিও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেদেশের সরকার। ঝড়-বৃষ্টিতে শীতকালীন ফসলের অত্যধিক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের পর কৃষি মন্ত্রককের পক্ষ উপযুক্ত সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। বুলবুলের তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশাতেও অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।