বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এ ব্যাপারে হাসপাতালের সুপার সৈকত বসু বলেন, এই ব্লাড ব্যাঙ্কে ৩০০ বোতল রক্ত মজুত থাকবে। ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ান থাকবেন। এতে মহকুমার মানুষ উপকৃত হবেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী কৃষ্ণনগর থেকে ব্লাড ব্যাঙ্কের উদ্বোধন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হলেও এতদিন কোনও ব্লাড ব্যাঙ্ক ছিল না। হাসপাতালে ভর্তি কোনও রোগীর রক্তের প্রয়োজন হলে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে যেতে হতো। এলাকার বাসিন্দা সুরজিৎ বিশ্বাস বলেন, এই সরকার আসার পর তেহট্ট হাসপাতালে চিকিৎসার উন্নতির জন্য অনেক কিছু হয়েছে। হাসপাতালে এইচডিইউ, এসএনসিইউ, ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান চালু থেকে আধুনিক চিকিৎসার সরঞ্জাম নিয়ে আসা হয়েছে। শুধুমাত্র ব্লাড ব্যাঙ্কের অভাবে সমস্যায় পড়তে হতো। সেই অভাব পূরণ হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। এতদিন আমাদের রক্তের প্রয়োজন হলে যেতে হতো শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে। সেখানে গিয়ে অনেক সময় প্রয়োজনীয় গ্রুপের রক্ত না মেলায় ফিরে আসতে হয়েছে। এতে টাকা ও সময় বেশি ব্যয় হতো। এখন আর সেই সমস্যা থাকল না। করিমপুরের বাসিন্দা পেশায় গাড়িচালক মিঠু অধিকারী বলেন, এতদিন রক্তের দরকার হলে আমাদের প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে শক্তিনগরে যেতে হতো। এখন আমাদের খুবই উপকার হবে। ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু হওয়ায় বেশ কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। এতে এই এলাকার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের একাংশের বাসিন্দারাও উপকৃত হবেন।
হাসপাতালে চিকিৎসক রামচাঁদ মুর্মু বলেন, ব্লাড ব্যাঙ্কের জন্য গ্রুপ ডি কর্মী কম থাকলেও তা চালিয়ে নেওয়া যাবে। আগে এই অঞ্চলে রক্তদান শিবির করলে কৃষ্ণনগর ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত সংগ্রহ করতে হতো। এখন থেকে এই অঞ্চলে যেখানেই রক্তদান শিবির হবে, আমাদের হাসপাতাল থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হবে। তাতে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের অভাব হবে না।