ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনের মধ্যে কুমারগ্রাম বিধানসভায় কে এগিয়ে থাকবে তা সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা, তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ি কুমারগ্রাম বিধানসভার নিউল্যান্ডস চা বাগানে। সেদিক থেকে এই বিধানসভায় লিড পাওয়াটা অবশ্যই তৃণমূলের কাছে প্রেস্টিজিয়াস ইস্যু। অন্যদিকে, কুমারগ্রাম বিধানসভা বিজেপির দখলে। ২০২১ সালে কুমারগ্রাম কেন্দ্রে বিজেপির মনোজকুমার ওরাওঁ জয়ী হয়েছিলেন। এমনকী ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ২৮ হাজার ৮১৩ ভোটে লিড পেয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জন বারলা। সেদিক থেকে বিজেপির কাছেও কুমারগ্রাম বিধানসভার লিড যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য।
তৃণমূল ও বিজেপি উভয়পক্ষই বিধানসভা ধরে ধরে হিসেব মেলাতে ব্যস্ত। তৃণমূলের বক্তব্য, গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে ভুল করেছিল। এবার মানুষ ভুল করেনি। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে ভোট দিয়েছেন। যদিও বিজেপির বক্তব্য, মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করতে এবারও মানুষ পদ্ম ফুলকেই বেছে নিয়েছে।
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি বিনোদ মিঞ্জ বলেন, মানুষ যে তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে তা ফলাফলে প্রমাণিত হবে। কারণ বিজেপির সাংসদ গত পাঁচ বছরে কোনও কাজই করেননি। ভোট নিয়ে মানুষকে ভাঁওতা দিয়েছে বিজেপি। এবার আর মানুষ ভুল করেননি। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছে। কুমারগ্রাম বিধানসভা থেকে দলীয় প্রার্থী বিপুল ভোটে এগিয়ে থাকবেন।
বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক সুনীল মাহাত বলেন, তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, দুষ্কৃতীরাজ বেড়েছে। সাধারণ মানুষ নিজের অধিকার রক্ষার্থে এবং নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করতে এবারও বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী, কুমারগ্রাম বিধানসভা থেকেও এবারও দলীয় প্রার্থী এগিয়ে থাকবেন।