ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে এশিয়ান হাইওয়ের পাশের নয়ানজুলিতে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পিলার বসিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল। নকশালবাড়ি ভূমিদপ্তর অভিযোগ পেয়ে অভিযান নেমে ২৪ জানুয়ারি কাজ বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি করে এবং কাজ বন্ধ করে দেয়। যদিও সড়ক কর্তৃপক্ষের সীমানা চিহ্নিত করতে সমস্যার মুখে পড়তে হয় ভূমিদপ্তরের আধিকারিকদের। এরমধ্যে নির্বাচনে ব্যস্ত হওয়ার জেরে পুরো বিষয়টি একপ্রকার ধামাচাপা পড়ে যায়। আর এই সুযোগে ওই এলাকার নয়ানজুলিতে প্রায় ৮০ মিটার লম্বা ও ৮ ফুট প্রশস্থ অংশে কংক্রিটের পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে।
যদিও স্থানীয় যুবকদের মদতে এ কাজ হচ্ছে বলে দাবি করেন নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আসরাফ আনসারি। তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে বিএলআরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। পরে এ নিয়ে ভূমিদপ্তর কি পদক্ষেপ করেছে জানা নেই। কিছু স্থানীয় যুবকের মদতে কাজটি চলছে। ভোটের ব্যস্ততায় এ নিয়ে কিছু করতে পারিনি। সেখানে রেল ও পূর্তদপ্তরের জমি আছে। আমি বিষয়টি নিয়ে ভূমিদপ্তরের সঙ্গে ফের কথা বলব।
এদিকে, নির্বাচনের ব্যস্ততার জেরে সময় পাননি ভূমিদপ্তরের আধিকারিকরা। যদিও সেখানে ফের কাজ চললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান নকশালবাড়ি বিএলআরও বিপ্লব হালদার। তিনি বলেন, আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষর কাছ থেকে জমির মানচিত্র পাইনি। এতে জাতীয় সড়কের কত জমি আছে তা বোঝা যাচ্ছে না। কারণ সেখানে কিছু বাড়িঘর রয়েছে। সেক্ষেত্রে জমি চিহ্নিত করতে জাতীয় সড়কের ম্যাপ লাগবে। যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি করেছি। প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে নয়ানজুলির পরে কাজটি হয়েছে। তবে কাজটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলাম। ফের এলাকায় যাব।
গত ডিসেম্বর মাসে জাল নথি দিয়ে সরকারি জমি আত্মসাতের ঘটনায় নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। যা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। এর মধ্যে একের পর এক জমি সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে বিপাকে পড়েছে ভূমিদপ্তর। যদিও জমি মাফিয়াদের এই দৌরাত্ম্য রুখতে ভূমিদপ্তরের কাছে বিশেষ টিম গঠনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।