ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
মেধা তালিকায় প্রথম দশে রাজ্যে ১৭ জন স্থান পেয়েছে। তার মধ্যে মালদহের ১২ জন রয়েছে। তৃতীয় হয়েছে রতুয়া-২ ব্লকের মহারাজনগর হাইমাদ্রাসার ছাত্র মহম্মদ ইব্রাহিম। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৩। ইব্রাহিমের বাবা মহারাজনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় দিনমজুর। অভাবের সংসারেও তাঁর স্বপ্ন, ছেলে ডাক্তার হোক। মহারাজনগর হাইমাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মহম্মদ আতাউল হক বলেন, এই মাদ্রাসার ছাত্র ইব্রাহিম দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। মাদ্রাসার ছাত্রী সালমা খাতুন দশম স্থানে রয়েছে। চতুর্থ স্থানে রয়েছে জেলা সদরের শতাব্দী প্রাচীন মালদহ মডেল মাদ্রাসার ছাত্র মুসাইয়িব আম্মা। সে পেয়েছে ৭৭২নম্বর। তার বাবা মহম্মদ আলমগীর মালদহ শহরে গৃহশিক্ষকতা করেন। মুসাইয়িব বলে, বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে গবেষণা করতে চাই।
যুগ্মভাবে পঞ্চম হয়েছে রামনগর হাইমাদ্রাসার আসামুল হক এবং রতুয়া-১ ব্লকের বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার ছাত্রী খালিদা খাতুন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৭৭১। আসমাউলের বাবা সাধারণ কৃষক, মা গৃহবধূ। খালিদার বাবা আব্দুস সামাদ পেশায় স্কুল শিক্ষক। রামনগর হাইমাদ্রাসার ছাত্র মারুফ আলম এবং ছাত্রী আসিফা ইয়াসমিন যুগ্মভাবে ষষ্ঠ হয়েছে। তারা ৭৭০ নম্বর পেয়েছে। যুগ্মভাবে সপ্তম স্থানে রয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ইসলামপুর সাগর হাইমাদ্রাসার ছাত্রী নাসিমা খাতুন, বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার ছাত্রী নাহিদা ইয়াসমিন ও জাহানারা খতুন। তারা ৭৬৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। নাসিমার বাবা সেতাবুর রহমান একজন ফেরিওয়ালা। গ্রামে ঘুরে কাপড় বিক্রি করে কোনওরকমে সংসার চালান। রামনগর হাই মাদ্রাসার ছাত্রী রেসমিনা খাতুন ৭৬৫ নম্বর পেয়ে অষ্টম হয়েছে। ৭৬২ নম্বর পেয়ে সম্ভাব্য দশম মহারাজনগর হাই মাদ্রাসার ছাত্রী সালমা খাতুন।
মালদহের এই কৃতীদের অধিকাংশ সাধারণ দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছে। ফাজিল পরীক্ষায় রাজ্যের মেধা তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে মালদহের জেএইচআর সিনিয়র মাদ্রাসার সারমিন জাহান।