কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
এর কারণ জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ কর্মসূচিতে গত কয়েকবছর ধরে বেসরকারি লগ্নির উপর ভরসা করা হয়েছিল। সেই পরিকল্পনা ব্যর্থই বলা যায়। তাই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেগুলি বাস্তবায়িত হয়নি। বহু প্রকল্প শুরু হলেও শেষ করা যাচ্ছে না। এই কারণে সড়ক ও পরিকাঠামো উন্নয়ন মন্ত্রক চাইছে আগে গ্রহণ করা প্রকল্প শেষ করতে। আর বেসরকারি সংস্থা লগ্নির উপর যেন নির্ভর করতে না হয়। সরকারের হাতেই পর্যাপ্ত অর্থ যাতে থাকে। এই অবস্থায় আগামী বাজেটে ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ চাইছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ৮৩ হাজার কোটি টাকা। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় ১৯ হাজার কোটি টাকা বারদ্দ হয়েছিল অন্তর্বর্তী বাজেটে।
এবার পূর্ণাঙ্গ বাজেটে সেটি অন্তত ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি চাওয়া হচ্ছে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের চাহিদা উত্তরোত্তর বেড়ে যাওয়ার কারণ হল জলের সঙ্কট গ্রামাঞ্চলে। কৃষিকাজ একপ্রকার স্তব্ধ হয়েছে তিনমাসে। আর এই কারণেই মাইগ্রেশন বাড়ছে। এই প্রবণতা ঠেকাতে আগে জলের ব্যবস্থা করা দরকার। সেই কারণেই এই প্রথম ভারত সরকারে তৈরি করা হয়েছে নতুন মন্ত্রক। জলশক্তি মন্ত্রক। ওই মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ হবে এই প্রথম। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সেচ প্রকল্পেও বরাদ্দ বাড়বে বহুগুণ। গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শহুরে কর্মসংস্থানের কথাও ভাবতে হচ্ছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। নাগরিক কর্মহীনতাকে কীভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব? আপাতত বাজেটে সেটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।