কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের পেশিশক্তির আস্ফালন নিয়ে আমেরিকা বরাবরই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরে বেজিংয়ের সামরিক কৌশলে মোটেও স্বস্তিতে নেই হোয়াইট হাউস। এই অঞ্চলকে নিজেদের এক্তিয়ারভুক্ত দাবি করে সামরিক সজ্জা বাড়িয়েই চলেছে চীন। আবার দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজেদের বলে পাল্টা দাবি করে আসছে ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া ও তাইওয়ান। তা নিয়ে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রায়শই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পম্পেএর এই সফরের নেপথ্যে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে সঙ্কট মোকাবিলায় জোটবাঁধার বার্তাও থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভারতকে সক্রিয়ভাবে পাশে পেতে চাইছে আমেরিকা।
এরই পাশাপাশি, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করতেও উদ্যোগী হবেন পম্পেও। এমনটাই খবর মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের। এর জন্য রীতিমতো হোমওয়ার্কও শুরু করে দিয়েছেন ট্রাম্পের অত্যন্ত আস্থাভাজন এই কূটনীতিক। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের সদরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পম্পেও জানিয়েছেন, দিল্লি সফরের আগে আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় শিল্পদ্যোগীদের সঙ্গে শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হবেন তিনি। ভারত-মার্কিন বিজনেস কাউন্সিলের ‘ইন্ডিয়া আইডিয়াজ’ শীর্ষক ওই সম্মেলন হবে বুধবার। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে সম্মেলনে উপস্থিত উদ্যোগপতিদের পরামর্শ নেবেন পম্পেও। তিনি বলেছেন, ‘ভারত-মার্কিন সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তৈরি করাই আমার মূল লক্ষ্য। তার জন্যই ওই সম্মেলন। যা আমার কাছে দিল্লি সফরের প্রস্তুতিপর্ব।
‘ইন্ডিয়া আইডিয়াজ’ সম্মেলনের ঠিক ১২দিন পর অর্থাৎ ২৪ জুন পম্পেও দিল্লির উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ছাড়বেন বলে এদিন জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মর্গান অটাগাস। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ফলে বিশ্বের কাছে ভারতকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণ তাঁর কাছে খুব সহজ হবে। আমেরিকাও চায়, গোটা বিশ্বে নেতৃত্বকারী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক ভারত।