কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
ওড়িশার স্পেশাল স্ট্যাটাসের দাবি দীর্ঘদিনের। জগন্মোহন রেড্ডিও অন্ধ্র প্যাকেজ চাইছেন প্রধানমন্ত্রীর জন্য। এই দুই মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও তামিলনাড়ুতে এআইডিএমকে ইতিমধ্যেই এনডিএ জোটের অঙ্গ। আবার তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সুপ্রিমো তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও মোদি সরকারের সঙ্গে সদ্ভাব রেখেই যে কাজ করবেন সেটা স্পষ্ট। প্রথম মোদি সরকারের আমলেও সেই চিত্র দেখা গিয়েছে। এনডিএ জোটের সংখ্যা ৩৫৩। তা সত্ত্বেও কেন এভাবে আরও সংখ্যার দরকার হচ্ছে? এর দুটি কারণ প্রথমত রাজ্যসভায় সংখ্যা বাড়ানো। এখনও রাজ্যসভায় সরকারপক্ষ গরিষ্ঠ নয়। তাই বিভিন্ন বিল পাশ করাতে এককভাবে এনডিএ সক্ষম নয়। নবীন পট্টনায়ক, জগন্মোহন রেড্ডি, কে চন্দ্রশেখর রাওদের পাশে পেলে রাজ্যসভায় গরিষ্ঠ সমথন হাতে আসবে। তাই যতদিন না পর্যন্ত এককভাবে বিজেপি কিংবা এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে ততদিন পর্যন্ত এই আঞ্চলিক দলগুলিকে পাশে নিয়েই চলতে চায় বিজেপি। কারণ এই দলগুলির বিজেপি বিরোধিতা কখনও তীব্র নয়। অন্যদিকে কংগ্রেস যাতে আর সংসদের মধ্যে কিংবা বাইরে কোনওভাবেই আঞ্চলিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট বা সমন্বয় করতে না পারে সেটাও নিশ্চিত করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ।
লোকসভায় কংগ্রেসের রয়েছে ৫২ জন। রাজ্যসভায় ৫০ জন। যাতে এই সংখ্যার সঙ্গে অন্য আঞ্চলিক দলগুলিকে কংগ্রেস পাশে না পায় সেটাই নিশ্চিত করতে চায় বিজেপি। শুধুই কী কংগ্রেসকে একঘরে করা? তা নয়। মনে করা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বার্তা দেওয়া মোদির লক্ষ্য। কারণ এভাবে একের পর এক আঞ্চলিক দলের সরকার যদি পরোক্ষে বা প্রত্যক্ষভাবে মোদির পাশেই থাকে তাহলে মমতা অনেকটাই জাতীয় স্তরে ফেডারেল ইস্যুতে একা হয়ে যাবেন। কারণ আর কেউই মমতার মতো এরকম তীব্রভাবে বিজেপি বিরোধী নয়। এবং বস্তুত লোকসভা ভোটের আগে ও পরে দেখা যাচ্ছে বিজেপির সবথেকে বড় প্রতিপক্ষই যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা যাচ্ছে বিজেপির এমপি থেকে মন্ত্রীরা নিয়ম করে মমতাকে আক্রমণ করছেন। আজও মুখতার আব্বাস নাকভি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের শত্রু। তিনি একাই পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংস করছেন।